বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন দমাতে উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটক পুলিস গুলি চালিয়েছিল। তাতে প্রাণও হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিজেদের দল শাসিত ওই দুই রাজ্যে পুলিসের গুলি চালনার যৌক্তিকতার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে এখানে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের মারার কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, এখানে একজন বিজেপির নেতা আছেন। তাঁর নাম নিতেও লজ্জা হয়, ছিঃ! গুলি চালাতে উস্কানি দিচ্ছেন। অনেকে চাইছে, বাংলায় গুলি চলুক। এর জন্যই আন্দোলনের নামে নাটক চলছে। উস্কানি দিচ্ছো কেন গুলি চালাতে? বাংলায় এসব হবে না। এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, গুজরাতও হয়ে যায়নি। যে বা যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, কোনও ঘটনা ঘটলে সে দায় তাঁদেরও নিতে হবে।
সিএএ-এনআরসি পর্বে মোদি বিরোধিতায় নেমে বাম-কংগ্রেস তাদের আন্দোলনের নিশানায় রেখেছে মমতাকে। ধর্মঘটের দিন বেশ কিছু বাস ভাঙচুর করে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। ধর্নামঞ্চে সেই বিষয়ে মমতা বলেন, হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে বাসে ঢিল মারা, আগুন জ্বালানোটা কোনও আন্দোলন নয়। আবেগ, অনুভূতি আর বিবেক নেই যাতে, সেটা কোনও আন্দোলন নয়। নাম না করে বাম-কংগ্রেসকে তাঁর কটাক্ষবাণ, অনেকে ভাবছেন একটা বন্ধ-ধর্মঘট করলাম, বেশ এক বছরের রাজনীতি হয়ে গেল। দৃশ্যত বিরক্ত তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, অন্য কোনও কাজ নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুধুই মমতা। মমতা যাক। মমতার মৃত্যু চায়। আমার সঙ্গে লড়ার আগে দম থাকলে, বিজেপি’র সঙ্গে লড়ে দেখাও। এদের অনেকের আবার দিল্লিতে বড় বড় পার্টি অফিস। কটা মিটিং-মিছিল করেছো দিল্লিতে। আমাদের দায়িত্ব এখানে, তাই এখানে আন্দোলন করছি, মিছিল করছি। আবার করব। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজন করাটা আমার দায়িত্ব। মেলার পরে পাহাড় থেকে ফের শুরু করছি মিছিল। আর যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তাদের সঙ্গে বিজেপি’র কোনও ফারাকও নেই। এদের সময়েই যুব কংগ্রেসের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ১৩টি তাজা প্রাণ।
তৃণমূল ছাত্র-যুবদের ধর্ণামঞ্চে এদিন বিকেলে যখন গিয়ে পৌঁছন মমতা, তখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এক ছাত্র। তাঁর বক্তৃতা থামিয়ে দেন আয়োজকরা। মঞ্চে উঠে সেই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করতে বলেন মমতা। মাইক হাতে নিয়ে তিনি বলেন, আজ শুনব আগে। পরে বলব। ছাত্র-ছাত্রীরা খুব ভালো বলছেন। এই সময় এক ছাত্র সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে একটি ব্যঙ্গ কবিতা শোনান। বিষয়টি পছন্দ হয় মমতার। বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে তা আওড়ানো হয়, তাতে গলা মেলান ধর্নাস্থলে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা। কী সেই ছড়া? মোদি মোদি, ইয়েস পাপা। এনি ডেভেলপমেন্ট? নো পাপা। সিটিজেনস হ্যাপি? নো পাপা। অনলি জুমলা, হা হা হা।