কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে কনকনে ঠান্ডা বয়ে এনেছে কলকাতা। হিসেব বলছে, আলিপুরে সোমবার ভোরে তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের তুলনায় তা তিন ডিগ্রি কম। দমদমে তা আরও কম, ১১.৫ ডিগ্রি। আবার দিনের তাপমাত্রাও ছিল বেশ খানিকটা কম। স্বাভাবিকের তুলনায় সেটি তিন ডিগ্রি কমে নেমে আসে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনভর উত্তুরে হাওয়া বয়ে চলায় শহরে শীত হাজির ছিল পূর্ণ মেজাজে। জেলাতেও হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা হওয়ার জোগাড়। আসানসোল, বালুরঘাট, বাঁকুড়া সহ কয়েকটি এলাকায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে পারদ। বারাকপুর, বর্ধমান, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, মালদহ, পানাগড়, শিলিগুড়ি বা শ্রীনিকেতনের মতো জায়গায় কোথাও তাপমাত্রা নেমেছে ন’ডিগ্রিতে, আবার কোথাও তা আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে কাঁথি। সেখানে তাপমাত্রা নেমেছে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। অথচ কালিম্পংয়ের মতো পার্বত্য এলাকায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে তা ছিল পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কাঁথি লাগোয়া দীঘায় অবশ্য অতটা নামেনি পারদ। সেখানে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তাপমাত্রা।
কিন্তু এই শীত-সুখ সইবে না বেশিদিন, বলছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ফের বাড়বে পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার ঠান্ডা জিইয়ে থাকবে। কিন্তু বুধবার থেকে ধীরে ধীরে শীত কমবে। যে উত্তুরে হাওয়া রয়েছে, তা সরে যাবে। সেই জায়গায় ধীরে ধীরে পুবালি বাতাস জায়গা নেবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যও বাড়বে। এই পট-পরিবর্তন হবে ধাপে ধাপে। কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড ঘেঁষে যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে, তার জেরেই শীত খোয়া যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন অধিকর্তা। এই পরিস্থিতি দিনকয়েক চলবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টি হয়েছিল রাজ্যে। এবারও কি বৃষ্টির বার্তা বয়ে আনছে ওই ঝঞ্ঝা? আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন, এবার যা পরিস্থিতি, তাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।