রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অসম থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগেই শুরু হয়েছিল। গত দুইদিন ধরে বাংলাতেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছে। মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশ এই আন্দোলনের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এদিন অধীর বলেন, অবস্থানগত কারণে অসমের গুরুত্ব রয়েছে। একদিকে দেশের পশ্চিমে কাশ্মীর উপত্যকা, অন্যদিকে পূর্বে নতুন কাশ্মীর অসম, দুই রাজ্যই এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিনে সেই আন্দোলনের জেরে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। অধীরের মতে, ৩৭০ ধারা খারিজের পর কাশ্মীর আর নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারত অশান্ত হয়ে উঠেছে। বাংলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অধীর বলেন, বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। তারই প্রেক্ষিতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী পাশ হওয়ায় তাদের উদ্বেগ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে হিংসা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন অধীর।
এদিকে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে আজ, সোমবারই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শুরু করছে ১৭টি বাম দল। আজ, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলায় জেলায়, শহরে-গ্রামে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে। ১৯ তারিখ মৌলালির রামলীলা ময়দানে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলির বামদলের কর্মীরা জমায়েত হয়ে মিছিল করবেন বলে জানানো হয়েছে। আজ বিকেল তিনটে নাগাদ এসএফআই রাজবাজার মোড়ে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।