পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, এদিন আপ-ডাউন মালদা টাউন-হাওড়া-মালদা টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দুই প্রান্ত থেকেই বাতিল করা হয়। এছাড়াও এদিন হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার জংশন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, ডাউন দার্জিলিং মেল, ডাউন পদাতিক এক্সপ্রেস, ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, আপ দার্জিলিং মেল, আপ পদাতিক এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। উত্তর সীমান্ত রেলের মালদা টাউন-নিউ জলপাইগুড়ি শাখায় অবরোধের জেরে ডাউন লাইনের হলদিবাড়ি-কলকাতা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেন আটকে পড়ে। বারাসত-হাসনাবাদ শাখা এবং বারুইপুর-ডায়মন্ডহারবার শাখায় অবরোধের জেরে লোকাল ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। একইভাবে এদিন দুপুর থেকে শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, আজ, সোমবার ডাউন বালুরঘাট-কলকাতা তেভাগা এক্সপ্রেস, ডাউন কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ডাউন তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, ডাউন হাটেবাজারে এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আপ লাইনের তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন আজ বাতিল থাকবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, আজ, সোমবার হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুদুচেরি স্পেশাল ট্রেন সহ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রবিবার ডাউন করমণ্ডল এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস সহ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল।
ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ব্যাপক সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। কয়েকদিন ধরে চলা এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, দূরপাল্লার ট্রেন সময়ে না চললে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর পর যাবতীয় কাজকর্ম তালগোল পাকিয়ে যায়। আবার ট্রেন বাতিল হলে পূর্ব পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। শীতে অনেকেই বাইরে বেড়াতে যান। আবার অনেকে চিকিৎসা কিংবা অফিসের প্রয়োজনে দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করেন। টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়া গেলেও অনেকেরই হোটেল, গাড়ি ‘বুক’ করা থাকে। সেসব বুকিং বাতিল হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয় তাঁদের। রাজ্য-রেল যৌথ উদ্যোগে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন যাত্রীরা।