গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের এমপি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন চান না। তিনি সবকিছুতেই রাজনীতি খোঁজেন। এক্ষেত্রে পশ্চিম বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কালিম্পঙে মেডিক্যাল কলেজের অভাব থাকলেও তা নিয়ে ভাবিত নন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, মোদি সরকার এই এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করলে গোটা ‘ক্রেডিট’ই বিজেপি এমপি’রা নিয়ে যাবেন বলেই নবান্নের তরফে কোনও প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সুকান্তবাবু। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজের জন্য দরবার করেছিলাম। মন্ত্রী আমায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এলেই তিনি তা মঞ্জুর করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের সস্তা রাজনীতির জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। ঠিক যেমন আয়ুষ্মান ভারতের মতো পৃথিবী সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাচ্ছে না বাংলার মানুষ। বিজেপি এমপি’র দাবি, রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হলে শতাধিক নতুন ডাক্তারি আসন তৈরি হত। রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে নতুন ডাক্তার তুলে আনার প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে।
যদিও বিজেপি’র এই দাবিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রং দেখে উন্নয়ন করেন না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোচবিহার, ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজে তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। এই দুই লোকসভা আসনেও তো বিজেপি প্রার্থীরা জয়যুক্ত হয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, রাজ্য সরকার উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও আপস করে না, স্পষ্ট মন্তব্য চন্দ্রিমাদেবীর। তাঁর দাবি, বিজেপি’র অধিকাংশ এমপি’রা প্রথমবার সংসদে গিয়েছেন। তাই সংসদীয় প্রক্রিয়া এবং সরকারি আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে তাঁরা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নন। এ বিষয়ে বিজেপি এমপি’দের আরও পড়াশোনা করার পরমার্শ শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মহিলা সভানেত্রীর গলায়। উল্লেখ্য, তৃতীয় দফায় রাজস্থানকে ১৫টি এবং উত্তরপ্রদেশকে ১৪টি নয়া মেডিক্যাল কলেজ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।