পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের কাজের জন্য এই পুরস্কার বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বছরে পশ্চিমবঙ্গে ২৮ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। ৭৭২৭ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ৫২ লক্ষ পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক শ্রমদিবস তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। গতবছর ভালো কাজের পরিপ্রেক্ষিতে এবারও ২৮ কোটি শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ২৬ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল। তবে ২০১৬-১৭ সালে কিছুটা কম হয়। সে বছর হয় ১৮ কোটি ৭৭ লক্ষ শ্রমদিবস। তার আগের বছর আরও বেশি হয়— ২২ কোটি শ্রমদিবস।
বাংলার গত কয়েক বছরের পারফরম্যান্সও অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমান আর্থিক বছর ২০১৯-২০তে ২৮ কোটি শ্রমদিবসের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এ বছর লোকসভা নির্বাচন সহ নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য কিছুটা ধীরগতিতে ১০০ দিনের কাজ চলছে। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে ৩৮.৭১ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি তিন মাস দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে ১০০ দিনের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। গ্রামের গরিব মানুষের কর্মসংস্থান বাড়াতেই বিশেষভাবে এই প্রকল্পকে সফল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এই প্রকল্পে শুধু পুকুর কাটা, রাস্তা তৈরির মতো কাজ করা ছাড়াও সম্পদ সৃষ্টির উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সবুজায়নের লক্ষ্যে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানোর কাজ চলছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েক বছরে গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের এই পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি পেল। ফলে বলা যাবে না, পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের কাজ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পুরস্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।