বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বসু পরিবারের তিন প্রবীণ ভাই-বোন যৌথভাবে মোদিকে এই চিঠি লিখেছেন। অনিতাদেবী এখন জার্মানিতে থাকেন। দ্বারকানাথবাবু কলকাতার বাসিন্দা। অর্ধেন্দুবাবুর নিবাস মুম্বই। তবে প্রযুক্তির সাহায্যে তিনজনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোদির তরফে কোনও উত্তর তাঁদের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন দ্বারকানাথবাবু। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে আমরা এখন প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাই না। তবে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলা বিতর্কের ইতি টানতে ডিএনএ পরীক্ষা অন্যতম অস্ত্র বলে আমরা মনে করি। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকুতে আদৌ কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল—এমন কোনও তথ্য সেখানকার সরকারের কাছে না থাকার কথা জানানো হয়েছে। তারপরও এনিয়ে বহু মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটেনি। বিশেষ করে আগের দুই কমিশনের রিপোর্টে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকায় অনেকেই সংশ্লিষ্ট তত্ত্বকে প্রামাণ্য হিসেবে মনে করে না বলে এই বিতর্কের অবসান হয়নি এখনও। এক্ষেত্রে আমাদের মতো পরিবারের সদস্যদের রক্তের নমুনা এবং ওই চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই করলেই এই বিতর্কের অবসান সম্ভব।
সূত্রের খবর, মোদিকে পাঠানো ওই চিঠিতে অনিতাদেবীরা বলেছেন, মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টেই লেখা হয়েছে যে, রেনকোজি মন্দিরে রক্ষিত চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে ভারত সরকার অনুমোদন দিয়েছিল। আমরা চাই, দীর্ঘকাল ধরে চলা এহেন বিতর্কের মীমাংসায় এই পরীক্ষা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরকে কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা। যেহেতু এই সফরে শিনজো আবে ইম্ফলে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাই চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়ে তাঁর সহযোগিতা আদায় করার এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ। মুখার্জি কমিশনের তদন্তেই উঠে এসেছে, ওই চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে ভারত ও জাপান সরকারের পাশাপাশি রেনকোজি মন্দির কর্তৃপক্ষেরও অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেই পরীক্ষা এখনও করানো হয়নি। এই অনুমোদন ফের দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছেআবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এব্যাপারে আমরা জাপান সরকার বা সে দেশের নাগরিকদের কোনওভাবে আঘাত দিতে চাই না। বরং ১৯৪৫ সাল থেকে এত বছর রেনকোজি মন্দিরে ওই চিতাভস্ম সযত্নে সংরক্ষণ করার জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু বসু পরিবারের কিছু সদস্য সহ দেশের অনেক মানুষ এনিয়ে সন্দেহ ব্যক্ত করায় বিতর্কের অবসান ঘটাতেই আমরা এই পরীক্ষা করানোর জন্য সওয়াল করছি। আমরা চাই, এই পরীক্ষা নেতাজির মৃত্যু সংক্রান্ত বিতর্কের সঙ্গে জড়িত নয় এমন দেশগুলিতে করানো হোক। সেক্ষেত্রে আমেরিকা, জার্মানি এবং ব্রিটেনের মতো দেশগুলিতে এই পরীক্ষা করানো যেতে পারে।