দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু কেন্দ্রিক জনস্বার্থ মামলা সূত্রে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট বলেছিল, জাতীয় ‘ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’-এর অতিরিক্ত অধিকর্তার নির্দেশমাফিক রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে যে রিপোর্ট তৈরি করেছিল, সেইমতো রাজ্য দুই ধরনের রোগ পরীক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। ১. অ্যালাইজা ভিত্তিক এনএস১ অ্যান্টিজেন ডিটেকশন টেস্ট। যা রোগীর জ্বর হওয়ার প্রথম থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত করতে হবে। ২. অ্যালাইজা ভিত্তিক আইজিএম অ্যান্টিবডি ডিটেকশন টেস্ট, যা জ্বর হওয়ার পঞ্চম দিনের পর থেকে করতে হবে। সব সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সর্বসাধারণের জন্য এই ব্যবস্থা থাকবে। তার জন্য রাজ্য সরকার অ্যালাইজা ভিত্তিক এনএস১ অ্যান্টিজেন এবং আইজিএম অ্যান্টিবডি ডিটেকশন টেস্টের কিট সব সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রাখবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যকে ফিল্ড ওয়ার্কার নিয়োগ করতে হবে। মশার আঁতুড়ঘর নিশ্চিহ্ন করতেই রাজ্য সরকার সব স্তরে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টেম্ফোস পিপিএম ছড়াতে হবে। এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর যে রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা করেছে, তার বক্তব্য অনুযায়ী ওই নির্দেশের সব কিছুই কার্যকর করা হয়েছে। এমনকী এই পতঙ্গবাহিত রোগের মোকাবিলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের দাবি, প্রতি বাড়িতে জ্বরের সমীক্ষা ও রোগ নিয়ন্ত্রণে ৯৮ হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তিন হাজার মেডিক্যাল অফিসার, পাঁচ হাজার নার্সিং স্টাফ এবং এক হাজার প্যারামেডিক্যাল কর্মীকে সরকারি হাসপাতালে ‘কেস ম্যানেজমেন্ট’-এ ব্যবহার করা হচ্ছে। মশার লার্ভা খেয়ে নেওয়ার জন্য ৩.২০ কোটি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। এমনকী ৫০ জন পতঙ্গবিজ্ঞানীও নিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা, বাড়ির ভিতরের অংশ পরিষ্কার না রাখলে ৫০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমনই সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে মামলাকারীর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বেঞ্চকে জানান, রিপোর্টে প্রভূত তথ্য পেশ করা হলেও কত মানুষ এবার রোগাক্রান্ত হয়েছেন, ক’জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই তথ্য নেই। এমনকী যে জরিমানার কথা বলা হয়েছে, সেইমতো কতজনকে জরিমানা করা হয়েছে, সেই তথ্যও নেই। কেবল কতজনকে নোটিস ধরানো হয়েছে, সেই তথ্য পেশ করেই দায় সেরেছে সরকার। তাঁর মতে, এই রিপোর্ট অনেকটাই প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মতো। সেটি নিষিদ্ধ করা হলেও অবাধে তার ব্যবহার হয়েই চলেছে।