গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বলাগড়ের মহীপালপুরে এদিন জেলা প্রশাসনের আম দরবারের ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক আমজনতা তাঁদের সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, মানুষের বাড়ি নিয়ে সমস্যা প্রবল। কিন্তু বিপিএল তালিকাভুক্ত না হওয়ায় অনেকেই বাড়ির সুবিধা পাননি। আবার মুক্তি প্রামাণিক নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন তাঁর বিধবা ভাতার আবেদন নিয়ে তিনি বহুবার প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরেছেন কিন্তু কাজ হয়নি। বেবি বিবি নামে এক মহিলা তাঁর ঘরবাড়ি না থাকার কথা বলে তা পাওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন। আবার বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে এক শিক্ষক এসেছিলেন স্কুলের সমস্যা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে।
একদল পেঁয়াজ চাষি এদিন পেঁয়াজ সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যার বিষয় বলতে এসেছিলেন। ওই চাষিরা বলেন, যখন আমাদের এখানে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তখন দাম থাকে না। ৫০ পয়সা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে। আর অন্য সময় তার দাম অগ্নিমূল্য হয়। সংরক্ষণের সুবিধা থাকলে চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না। পাশাপাশি, বলাগড়ের ভাঙন, এলাকায় চাষের সমস্যা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রশাসনের কর্তাদের।
এদিন জেলশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা আম জনতার দোরগোড়ায় পৌঁছতে চাইছি। এদিন থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিমাসে অন্তত তিনটি করে এ ধরনের শিবির করা। মানুষ তাঁদের নানান সমস্যার কথা বলেছেন। আমরা সেগুলি কীভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব। এদিন পেঁয়াজ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জেলাশাসক বলেন, আমরা বলাগড়ে একটি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র করছি। সেটি আকারে অনেক বড় হবে। পাশাপাশি ছোট সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলি কৃষকরা যাতে নিজেদের উদ্যোগেই করতে পারেন তার জন্যে উদ্যানপালন দপ্তরের প্রকল্প আছে। আমরা সেই প্রকল্পে আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে নিয়ে আসব। জেলার পাণ্ডুয়া, সিঙ্গুর, বলাগড় যেখানে পেঁয়াজ বেশি চাষ হয় সেখানে এই পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এদিন বলাগড়ের ভাঙন, সেচের জলের সমস্যা নিয়েও একাধিক পরিকল্পনার কথা জেলাশাসক জানিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি করে উঠে আসা বাড়ির সমস্যা প্রসঙ্গে জেলাশাসক জানিয়েছেন, কিছু অতিরিক্ত বাড়ি যাতে করা যায় তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন পাঠানো হয়েছে।