কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত কয়েক বছর ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গই ছিল প্রথম স্থানে। এ বছর অবশ্য ১০০ দিনের কাজের অবস্থা ভালো নয় বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই কাজে গতি আনতে জেলা সফরে বেরচ্ছেন সুব্রতবাবু। তিনি ইতিমধ্যে ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে গিয়ে দপ্তরের জেলাস্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম ভি রাও সহ অফিসাররা।
শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, বাংলার আবাস যোজনা সহ কয়েকটি প্রকল্পের কাজে পিছিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। লক্ষ্যমাত্রা শেষ করার জন্য হাতে রয়েছে মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই সময়ে দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন পিছিয়ে, জেলায় জেলায় গিয়ে তার সমীক্ষা করবেন সুব্রতবাবু। পাশাপাশি পঞ্চায়েতগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হবে। এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় যাবেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া সহ দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজে গতি বাড়ানোর জন্য বৈঠক করবেন তিনি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবেন। কেন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে পড়েছে, তাও জানার চেষ্টা করবেন।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ১০০ দিনের কাজে পিছিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। খুব খারাপ অবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও। তারজন্য প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কড়াকড়ি এর অন্যতম কারণ বলে পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তাদের অনুমান। সেইসঙ্গে এই সব প্রকল্পে অনেক টাকা বাকি রয়েছে বলে পঞ্চায়েতমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা অফিসার বা জনপ্রতিনিধিদের কলকাতায় আনতে চাইছি না। আমি নিজে জেলায় যাব। সকলের সঙ্গে কথা বলব। কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল যাতে মানুষ পায়, তার জন্য বলব। এছাড়া জেলায় জেলায় গিয়ে অফিসার, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে বুঝব, সমস্যা কোথায়। জলের ব্যবহার, বাংলার আবাস যোজনা সহ যে সব প্রকল্প চলছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।