কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লোক সমাগমে উজ্জীবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব এদিন আগামী ৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে তাদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘট কর্মসূচি এ রাজ্যেও সফল করার আহ্বান জানায়। সিটুর তপন সেন, আইএনটিইউসি’র কামরুজ্জামান কামার, এআইটিইউসি’র অতুল আনজান, টিইউসিসি’র জি দেবরাজন, ইউটিইউসি’র অশোক ঘোষ সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এদিন একসুরে ভাষণ দিতে গিয়ে খোলাখুলি বুঝিয়ে দেন, ৮ জানুয়ারি এবার এই ধর্মঘট সফল করাই এখন তাঁরা পাখির চোখ করেছেন। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে যে কোনও ধরনের ধর্মঘট-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে এদিন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন তাঁরা। ধর্মঘট সফল করার জন্য শ্রমিক-কৃষক সহ তামাম শ্রমজীবী মানুষের রুটি-রুজির সমস্যার পাশাপাশি হালে বহু চর্চিত এনআরসি-সিএবি ইস্যুকেও যে তাঁরা সামনে আনছেন প্রচারে, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেয় নেতৃত্ব।
ধর্মতলার এই সমাপ্তি সমাবেশ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পুলিসের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল উদ্যোক্তাদের। উদ্যোক্তারা প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই জমায়েত করতে চেয়েছিল। পুলিসের সবুজ সঙ্কেত না পেয়ে শেষমেশ তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তাদের আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভা করতে হয় তাদের। সমাবেশ উপলক্ষে বেলা ১২টা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বড় বড় মিছিল আসতে থাকে। গত ৩০ নভেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার সামনে থেকে শুরু হওয়া মূল লং মার্চের পদযাত্রাকারীদের নিয়ে কয়েক হাজার সমর্থকের মিছিলটি যখন সবার শেষে সভাস্থলে আসে, তখন গোটা ধর্মতলা চত্বরজুড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না। ফলে এই মিছিলের অনেকেই শেষমেশ মূল মঞ্চের অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সবক’টি লেন ভরে যাওয়ায় চৌরঙ্গি রোডের দুই পাশ জুড়ে মিছিলকারীরা বসে পড়েন। ফলে গোটা ধর্মতলা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিস। গোটা মধ্য কলকাতা জুড়ে তৈরি হয় তীব্র যানজট। বাস-ট্রাম-ট্যাক্সি থেকে নেমে যাত্রীদের হাঁটতে দেখা যায়। ঘণ্টাখানেক পর পুলিসের অনুরোধে চৌরঙ্গি রোড থেকে ধীরে ধীরে মিছিলকারীরা আশপাশের রাস্তায় ভাগাভাগি করে সরে গেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুলিস। তবে গাড়ি চলাচল শুরু করলেও তার গতি ছিল খুবই শ্লথ। তাই বিকেল ৪টে নাগাদ জনসভা শেষ হওয়া পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি আদৌ।