কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সাংবাদিক বৈঠকে পার্শ্বশিক্ষকদের পে স্কেল দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেননি পার্থবাবু। তিনি বলেন, চাকরির স্থায়ীকরণ এক জিনিস আবার পে স্কেল দেওয়া অন্য বিষয়। পে স্কেল থাকলেও চাকরি স্থায়ী নাও হতে পারে। তাঁরা হঠাৎ পে স্কেলের বিষয়টি কেন বলছেন, বুঝতে পারছি না। তবে, তাঁদের দাবি শুনেছি। তাঁদের কাছে আমি সময় চেয়ে নিয়েছি। কারণ, এটা তো আমার একার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয় রয়েছে। তাই আমি কোনও আশ্বাস দিতে পারি না।
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শো-কজ তুলে নেওয়ার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রী দিয়েছেন। অন্য আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষামন্ত্রী সময় চেয়েছেন। এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির আগেও কোনও সুখবর আসতে পারে। তবে, সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী শো-কজ তোলার সম্ভাবনা উড়িয়েই দেন। তিনি বলেন, এরকম কোনও আশ্বাস আমি দিইনি। তাঁরা দিনের পর দিন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন না। এটা তো করা যায় না। তবে, তাঁদের দাবি মানবিকভাবেই দেখছে সরকার। এই সরকার তাঁদের ৬৮ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এঁদের ইপিএফ-ও রাজ্য সরকার চালু করেছে।
প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ড (প্যাব)-এর রিপোর্ট উল্লেখ করে সরকারকে চেপে ধরেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একাংশের দাবি ছিল, কেন্দ্রের টাকাও রাজ্য সরকার পুরোটা দিচ্ছে না। সে প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, আমি আজ বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকার বেতন খাতে আলাদাভাবে কোনও অর্থ রাজ্য সরকারকে দেয় না। বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছে এখনও ১৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন, পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা শুভাঞ্জন রায়কেও বৈঠকে রেখেছিলাম। তাঁদের সামনেই এ কথা পার্শ্বশিক্ষকদের জানানো হয়েছে। আমরা কেন্দ্রের কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইব, তারা আমাদের এই খাতে কত টাকা দেয়। তাহলে বিষয়টা সবার কাছে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষক সমিতির শীর্ষ নেতা রোমিউল ইসলাম শেখ বলেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে না বলে পার্শ্বশিক্ষকদের খেপিয়ে আন্দোলনে নামানো হয়েছিল। সেটা যে ঠিক নয়, তা বৈঠকে কিছু নেতা স্বীকার করেছেন। প্রয়াত পার্শ্বশিক্ষকদের ইপিএফের পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁদের পরিবার দ্রুত পাবে বলেই আশ্বাস পেয়েছি।