কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রাজভবন সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাজ্যপাল ধনকারের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল এমপি’রা। প্রশ্ন তোলার জন্য চেয়ারম্যানের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পর ওয়াকআউট পর্যন্ত করেন। এর আগেও অবশ্য ধনকারের ভূমিকা নিয়ে দুই কক্ষের তৃণমূল সাংসদরা রাজধানীতে তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংঘাতের জন্য তাঁকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গোটা বিষয়টিকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যান তাঁরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবার ধনকারও হাত গুটিয়ে বসে নেই। আপাতত রাজ্যের সব এমপি’কে চিঠি দিয়ে গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার উদ্যোগ নিলেন তিনি। আগামীদিনে তিনি নাকি আরও কিছু অস্ত্র তাঁর আস্তিনে গুটিয়ে রেখেছেন বলে রাজ্যপালের সচিবালয় সূত্রের খবর।
তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস সহ বাংলার এমপি’দের লেখা চিঠিতে এই বিলের খসড়া রাজভবনে আসা থেকে শুরু করে দপ্তরের সচিব সহ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক পর্যন্ত যাবতীয় পদক্ষেপ তারিখ সহ উল্লেখ করেছেন। জাতীয় স্তরে থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে আরও একটি এই ধরনের কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কারণ সম্পর্কে লিখিতভাবে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার কয়েকদিন পরও তার জবাব না পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন সবিস্তারে।
বাংলার সাংসদদের লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন, আমি এই সব তথ্য আপনাদের গোচরে আনা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছি। রাজ্যপাল হিসেবে আমি সর্বদা আন্তরিকভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। পরিষদীয় বিষয়েও আমার অবস্থান একই। রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রেও এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুরূপ জরুরি মনোভাব এবং দ্রুত গতি কাম্য। তাদের এই করণীয় পালনের জন্য রাজ্য সরকারের উপর আপনারাও সার্বিক চাপ তৈরি করবেন বলে আশা করি। তৃণমূলের তরফে এদিন এব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে বিজেপির এমপি’রা অনেকেই বলেন, রাজ্যপালের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ায় সুবিধা হল। তৃণমূল এরপর সংসদে এই ইস্যুতে হল্লা পাকাতে এলে সব তথ্য সামনে এনে তাদের পাল্টা চাপে ফেলা যাবে।
মঙ্গলবার পার্থবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, সরকার বা বিধানসভাকে পাঠানো রাজ্যপালের চিঠি সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর আগেই সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমজনতাকে জানানো হচ্ছে। অধ্যক্ষকে পাঠানো চিঠির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যপাল বলেছেন, পার্থবাবুর এই তথ্য মোটেও সঠিক নয়। অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানোর অনেক পরে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তা জনসমক্ষে জানানো হয়েছে।