পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হামেশাই মিড ডে মিলের খাবার জায়গা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠত। মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় আগে অনেক স্কুলে খোলা আকাশের নীচেই ছাত্রছাত্রীরা খেতে বাধ্য হতো। ফাঁকা জায়গায় খাবারে পোকামাকড় পড়ার অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় শোরগোলও হয়েছে। কিন্তু, প্রতিটি স্কুলে ডাইনিং হল তৈরি হলে সেই ছবিটা বদলে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন। সুরক্ষিত জায়গায় বসে পড়ুয়ারা খেতে পারবে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, যেসব স্কুলে জায়গা রয়েছে সেখানে ইতিমধ্যে ডাইনিং হল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি স্কুলেই ডাইনিং হল তৈরি করা হবে। তা হয়ে গেলে স্কুলগুলির দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে যাবে। ছাত্রছাত্রীরা এক জায়গায় বসে ভালোভাবে খেতে পারবে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, আমাদের জেলায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে স্কুলগুলিতে ডাইনিং হল করে দেওয়া হবে। জেলার সূতি ব্লকেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ব্লকের আপাতত ৩৮টি স্কুলে হল তৈরি হচ্ছে। লালবাগের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, শুনেছি, ডাইনিং হল তৈরি করে দেওয়া হবে। বৃষ্টি হলে পড়ুয়াদের বারান্দায় বসিয়ে খাওয়ানো যায় না। তখন ছোট ক্লাসগুলিতে বসিয়ে তাদের কোনওরকমে খাওয়ানো হয়। কিন্তু আলাদা হলঘর হয়ে গেলে সুবিধা হবে। একসঙ্গে সবাইকে বসিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে সব স্কুলের কাছে অতিরিক্ত জমি নেই। তাদের ক্ষেত্রে ডাইনিং হল তৈরি করা সমস্যা হতে পারে। জমি কিনে হল করতে হবে। বাড়তি খরচ পড়ে যাবে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে তা স্পষ্ট নয়।