বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এখন বহু চর্চিত বিষয়। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কোর্স খোলা হচ্ছে। আগ্রহ বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। এবার সেই বিষয় নিয়ে স্কুলস্তর থেকেই পাঠ দিতে চাইছে সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা প্রকাশিত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পড়ুয়াদের অবগত করতে হবে। তার মধ্যে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো বিষয় যেমন ঢোকানো হয়েছে, তেমনই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেও পড়ুয়াদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে। এছাড়াও আগামী শিক্ষাবর্ষে খেলাধুলো এবং শারীরশিক্ষার উপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তালিকায় আরও একাধিক বিষয় রয়েছে।
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্যই এমন কর্মসূচি নিতে হবে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। তবে প্রশ্ন হল, এআই নিয়ে সচেতন করার জন্য শিক্ষকদেরও তা নিয়ে অবহিত থাকতে হবে। তার জন্য কি শিক্ষকদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? বোর্ডের কর্তারা জানান, কম্পিউটার শিক্ষকরাই এই ক্লাস করাবেন। তবে এই রকম কর্মসূচি কীভাবে নেওয়া হবে, তা ঠিক করবেন প্রধান শিক্ষকরা। সেক্ষেত্রে এই বিষয়ের উপর আলোচনাসভার আয়োজন করে বাইরে থেকে কোনও বিশেষজ্ঞকে ডাকা হতে পারে। আবার কর্মশালার আয়োজনও করা যেতে পারে। এমনও হতে পারে, কেউ এই নিয়ে আলোচনাচক্রে আমন্ত্রণ জানাল। স্কুল কয়েকজনকে সেখানে নিয়ে গেল। মূলত, বাইরের জগতের সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় করানোটাই মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও ফিনান্সিয়াল লিটারেসি নিয়েও পড়ুয়াদের পাঠ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এক শিক্ষকের মতে, যেভাবে এখন টাকা পয়সার লেনদেনের চরিত্র বদলাচ্ছে, তার সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় হওয়া দরকার আছে।
এদিকে, আগামী শিক্ষাবর্ষে খেলাধুলোকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে শারীরশিক্ষার জন্য ক্লাস বাড়ানো হয়েছে। সপ্তাহে আগে দু’টি করে ক্লাস ছিল। তা বাড়িতে তিনটি করা হয়েছে। বোর্ডের এক কর্তার মতে, পড়ুয়াদের ফিটনেস বৃদ্ধির জন্য এমনটা করা হয়েছে। খেলাধুলোর মাধ্যমে পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুলে চাইল্ড গাইডেন্স ক্লিনিক করার কথাও বলা হয়েছে। যেসব স্কুলে এমন বাচ্চা থাকবে, সেখানে নিয়মিত স্পেশাল এডুকেটর নিযুক্ত করে তাদের মূলস্রোতের বাচ্চাদের সঙ্গে পড়াতে হবে।
তবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শিক্ষকদের ডায়েরি। কোন শিক্ষক কী পড়ালেন বা পড়ুয়া পিছু কার কী উন্নতি হল, কিসে সে পিছিয়ে তার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। বছরের শেষে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অভিভাবকরা জানতে পারবেন তাঁর সন্তানের ‘লার্নিং আউটকাম’। তবে এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করার দিনে (সরকারিভাবে ছুটি থাকলেও) শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হবে। সেদিন পড়ুয়াদের নিয়ে কী কী কর্মসূচি করা হল, তা ডায়েরিতে লিখতে হবে। বছরের শেষে প্রধান শিক্ষকরা বোর্ডের কাছে প্রত্যেক শিক্ষকের রিপোর্ট জমা দেবেন।