পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়কদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ এবং বিল আটকে রাখা নিয়ে সরকারপক্ষ ও অধ্যক্ষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চুপ করে বসে থাকেননি রাজ্যপালও। বিল নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানতে চেয়ে সরকারের কাছে তিনি যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন, তা এদিন পর্যন্ত না পাওয়াই এই বিলম্বের কারণ বলে ধনকার পাল্টা তির ছুঁড়েছেন। বিধানসভায় এদিন তাঁর বিরুদ্ধে শাসক শিবিরের বিবিধ তৎপরতার কথা জেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এব্যাপারে তারিখ ধরে বিস্তারিত চিঠি দেন। সেই চিঠিতে কেন বিলটি রাজভবনে আটকে রয়েছে, তার বিশদ ব্যাখ্যাও দেন তিনি। সেই সঙ্গে সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে বিধায়কদের জ্ঞাতার্থে তাঁর অবস্থান সদনে ব্যাখ্যা করার কথাও বলেন অধ্যক্ষকে। রাজ্যপাল পরে রাজভবনে সাংবাদিকদের বলেন, আমায় রাজনৈতিক নেতার পর্যায়ে নামানোর চেষ্টা চলছে। আমার ভূমিকা সংবিধানে বাঁধা রয়েছে। আমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে ত্রুটিপূর্ণ পদক্ষেপ করানো যাবে না। আমি রাবার স্ট্যাম্প রাজ্যপাল নই। রাজ্য সরকারের কাজের গতি গোরুর গাড়ির মতো। আমি সর্বশেষ যে ব্যাখ্যা সরকারের কাছে চেয়েছি, তা যদি ওরা না দিতে চায়, সেটাই জানাক লিখিতভাবে। কিন্তু তা না করে রাজনীতি করা উচিত নয়।
এদিন সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয় সাত-সকালেই। অধিবেশন শুরুর আগেই হঠাৎ দুই মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ও তাপস রায় এবং মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূলের তফসিলি জাতি-উপজাতি বিধায়করা গলায় ধনকার-বিরোধী নানা স্লোগানযুক্ত প্ল্যাকার্ড ঝুলিয় সদনের ভিতর থেকেই মিছিল শুরু করেন। তারপর ‘বিজেপির দালাল রাজ্যপাল দূর হঠো’, ‘তফসিলি জাতি-উপজাতিদের উন্নয়নে কেন বাধা দিচ্ছ, ধনকার তুমি জবাব দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে তাঁরা আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ-ধর্না শুরু করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং নির্মল ঘোষও রাজ্যপালের সমালোচনা করে সদনের ভিতরে বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মোদ্দা বক্তব্য ছিল, ব্যাখ্যা চাওয়ার নামে বিলটি অহেতুক আটকে রাখায় অধিবেশনের কাজ পর্যন্ত ব্যাহত হল। বিধায়করা আলোচনা করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে অধ্যক্ষও বলেন, রাজভবনের তরফে প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বিধানসভা থেকে রাজ্যপাল নাকি কোনও নথি চেয়ে পাচ্ছেন না। এটা ঠিক নয়। উনি যখন যা চাইছেন, তা আমরা পাঠাচ্ছি।
দিনভর শাসক-রাজ্যপালের এই সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী বাম-কংগ্রেস কিন্তু পরোক্ষে ধনকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে।