কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে এখনও পর্যন্ত ৪০০টিরও বেশি প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন মমতা। প্রতিটি বৈঠকেই জেলাপর্যায়ে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁরই উদ্যোগে নতুন করে ঢেলে সাজা হয়েছে এমএসএমই (ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প) দপ্তর। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। কেন্দ্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে এমএসএমই স্থাপনে এক নম্বরে এখন বাংলা। দীঘার এই বাণিজ্য সম্মেলনের ফোকাস সেই এমএসএমইকে ঘিরেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ দীঘার কনভেনশন সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র বলেন, প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নবান্নকে নিয়ে গিয়েছেন জেলায় জেলায়, সেই একইভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্পস্থাপনকে আরও সরলীকরণের লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে ‘বিজনেস কনক্লেভ’। এর আগে তা হয়েছে দার্জিলিং শহরে। এবার দীঘায়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য দীঘা এখন অন্য চেহারায়। তাঁর কথায়, চমক থাকবে বাণিজ্য সম্মেলনে। প্রথম সারির শিল্পপতিরা উপস্থিত থাকবেন। কলকাতার বাইরে এত বড় সম্মেলন, অন্য কোনও রাজ্য যা পারেনি, তাই করে দেখাবে বাংলা। বহু প্রতীক্ষিত তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্যবাসীর আগ্রহ অনেকদিনের। সেই বন্দরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ নিউ দীঘার বিজনেস কনক্লেভ থেকে হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অমিতবাবুর কথায়, কনক্লেভে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা হবে। চমক থাকবে সবার জন্য।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে সামনে আসা মৎস্যজীবীদের ডেরা ‘বীরকুল’ই আজকের দীঘা। উত্তরণের এই দীর্ঘপথে সংযোজিত হয়েছে রাজ্যের সবচেয়ে প্রিয় ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর নানা স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এখন তাঁরই হাত ধরে পর্যটন আর ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প—এই চারের সংমিশ্রণ ঘটাতে বিজনেস কনক্লেভ কতটা কার্যকর ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখতে মুখিয়ে রয়েছে বাংলা।