বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি উদ্যোগে কলকাতার রেশন দোকানে সরবরাহ করা পেঁয়াজ নির্ধারিত ৫৯ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। রেশন দোকানে পরিবার পিছু এক কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সুফল বাংলার স্টলে ওই দরে পেঁয়াজ বিক্রি চলছে। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কৃষি বিপণন পর্ষদ ৮০ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৪০ টন পেঁয়াজ কিনেছে পোস্তা ও কোলে মার্কেট থেকে। দুদিন আগেও তারা পাইকারি বাজার থেকে কেজিতে একশো টাকা বা তার বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনেছিল।
পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগের তুলনায় পেঁয়াজের জোগান অনেকটাই বেড়েছে। গত শনি-রবিবার কলকাতায় হাতে গোনা কয়েকটি পেঁয়াজের লরি এসেছিল। সেখানে সোমবার লরির সংখ্যা বেড়ে ২০টি হয়। মঙ্গলবার তা আরও বেড়ে প্রায় ৩০টি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক ছাড়াও গুজরাত, রাজস্থান থেকে নতুন ওঠা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। বেসরকারি উদ্যোগে আফগানিস্থান, ইরানের পেঁয়াজ পাকিস্তান সীমান্ত পার হয়ে আসছে। পোস্তায় এদিন খুব ভালো মানের ৪০ কেজির পেঁয়াজের বস্তার দাম ৩৪০০ টাকা ছিল। মোটামুটি মানের পেঁয়াজ ৩২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই হিসেবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এদিন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল।
সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, কোলে মার্কেটেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে এখন যেভাবে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে, সেটা ঠিক নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামী দিনগুলিতে পেঁয়াজের জোগান আরও বাড়লে দাম আরও পড়বে বলে ব্যবসায়ী মহল আশা করছে।