পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে মেসার্স হাওড়া ’শ মিলে ‘ওয়ার্কম্যান’ হিসেবে তিনি কাজে যোগ দেন। বেতন ১১ হাজার টাকা। কিন্তু, তাঁর হাতে নগদে দেওয়া হচ্ছিল পাঁচ হাজার টাকা। তিনি প্রতিবাদ করেন। তাঁকে বলা হয়, যা দেওয়া হচ্ছে, তাই নিতে হবে, অন্যথায় চাকরি ছাড়তে হবে। অভাবী মানুষটি তা হাত পেতে নিলেও, মন থেকে মানতে পারেননি। লেবার কমিশনার, পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু, ২০১২ সালের ২২ জুন তাঁর চাকরি খারিজ করা হয়।
এই অবস্থায় কোথাও সুবিচার মিলবে, তা তাঁর জানা ছিল না। ১৯৩৬ সালের পেমেন্ট অব ওয়েজেস অ্যাক্ট অনুযায়ী গঠিত কোর্ট অব অথরিটির কাছে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না। এই তথ্য জানার পর তিনি যান হাইকোর্টে। তাঁর আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের আবেদন সূত্রে রাজ্যের শীর্ষ আদালত সংশ্লিষ্ট লেবার কমিশনারকে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করতে বলে। সে চেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তিনি লেবার ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন।
সম্প্রতি ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক শ্রীবাশ চন্দ্র দাস তাঁর রায়ে বলেছেন, আবেদনকারীর চাকরি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাতিল করা হয়েছিল। তাই সংস্থাটির সিদ্ধান্ত খারিজ করা হল। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দিয়ে ওই সংস্থাকে তাঁকে কাজে নিতে হবে। কিন্তু, কীভাবে ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তে এল? রায় অনুযায়ী অন্তত দু’টি ‘স্যালারি রিসিপ্ট’ চিত্তরঞ্জন পেশ করতে পেরেছেন। ওই সংস্থার সঙ্গে বিরোধের কারণে হাওড়ার এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে, লেবার কমিশনারের কাছে যেসব নথিপত্র তিনি পেশ করেছিলেন, সেগুলির বৈধতাও সংস্থাটি চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।