পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, এই বিধি কার্যকরের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার বলে কিছু রইল না। ভবিষ্যতে উপাচার্যরা সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। অন্যদিকে, এসইউসি’র শিক্ষক নেতা তরুণ নস্কর বলেন, এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেওয়া হল। উপাচার্যের স্বাধিকার যতুটুকু অবশিষ্ট ছিল, তা হরণ করা হল। বিধিতে যেভাবে সেনেট, সিন্ডিকেট সহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থার বৈঠকের তাঁকে জানাতে কথা বলা হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। আবুটার বক্তব্য, যেটাই করা হয়েছে, তা স্বাধিকারের উপর আঘাত আনা হল।
তবে বিধিতে সমাবর্তন নিয়ে যে অংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন উপাচার্যরা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, এতদিন সাম্মানিক ডিগ্রি কারা পাবেন, তার তালিকা তৈরি করে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হতো। সেক্ষেত্রে রাজভবন কখনওই কোনও নাম নিয়ে আপত্তি করেনি। এক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর যে সব নামের সুপারিশই পাশ করে দেবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আরও একটি বিষয় হল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বৈঠক নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছিল, তাও কেটে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, নয়া বিধি অনুযায়ী, এই বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রে দপ্তরকে জানাতে হবে। আর রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে তারা এবার সেই বৈঠক দপ্তরকে জানিয়েই ডাকতে পারবে।
বিধি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, যেভাবে আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করা হল, তা নজিরবিহীন। আর কোথাও এমনটা হয়েছে বলে মনে হয় না। একইভাবে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এতদিন স্বাধিকার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে সিলমোহর দিয়ে দিল এই সরকার। আচার্যের ভূমিকাকে স্রেফ রেকর্ডকিপারে পরিণত করে দেওয়া হল।