পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। তাদের ১৮ জন প্রার্থী ‘পদ্ম’ চিহ্নে জয়যুক্ত হয়েছিলেন। তারপরই আশা জেগেছিল, এ রাজ্য থেকে হয়ত অন্তত পাঁচ-ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন। যদিও বাস্তবে তা হয়নি, নতুন মুখ হিসেবে একমাত্র রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। আর গতবারের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ফের একবার মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তারপর একাধিকবার বাংলা থেকে আরও কয়েকজনকে মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কিন্তু জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিক সংশোধনী বিল (ক্যাব) নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের জেরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এবার বাড়তি নজর পড়েছে মোদি-শাহদের। জানা গিয়েছে, শরণার্থী কিংবা অনুপ্রবেশে জর্জরিত বাংলা থেকে আরও কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে বাঙালির চাপা ক্ষোভকে সামাল দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই সম্ভাবনার দিকগুলি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহের ‘ডানহাত’ ভূপেন্দ্র যাদব।
অন্যদিকে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম জানাতে চলেছে দল। তারপরই বাংলা থেকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা হবে। প্রথা অনুসারে যে রাজ্যে যতগুলি লোকসভা আসন, সেখান থেকে ততজন সদস্য জাতীয় কর্মসমিতিতে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলা থেকে বিজেপির সর্বোচ্চ ৪২ জন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হতে পারবেন। তবে কতজনকে জাতীয় কর্মসমিতিতে পাঠানো হবে, তা রাজ্য বিজেপিই ঠিক করবে। সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের সময় রাজ্য সভাপতি এবং জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে রাজ্য বিজেপি কাদের রাখে, তা নিয়ে দলীয় স্তরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।