কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিধানসভায় নিজের চেম্বারে বৈঠক করেন দমকলমন্ত্রী। ওই বৈঠকে দমকলের ডিজি জগমোহন সহ অন্যান্য অফিসাররা ছিলেন। সেখানে দিল্লির মতো ঘটনা যেন না ঘটে, তারজন্য সতর্ক থাকতে বলেন সুজিত বসু। পরে তিনি বলেন, আমরা আগুন যাতে না লাগে, তার জন্য সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালাচ্ছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ফায়ার অডিটের উপর জোর দিয়েছি। সবকটি প্রতিষ্ঠান ও বড় বিল্ডিংয়ে ফায়ার অডিট করা হয়েছে। সেখানে ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্রুটি ধরা পড়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নাহলে দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটরবাইকে করে দমকল কর্মীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফায়ার বলও চালু করা হয়েছে। ৬৮ মিটার, ৫৪ মিটার, ৪২ মিটার এবং ৩০ মিটার উচ্চতার ল্যাডার তৈরি রাখা হয়েছে। ১০২ মিটার উচ্চতার ল্যাডার কেনার প্রস্তাব রয়েছে দমকল দপ্তরের।
গত মাসে সল্টলেকের বৈশাখীতে একটি শপিং মলে আগুন লাগার পর বেসমেন্টে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন দমকল কর্মীরা। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বিবেকানন্দ স্ট্রিটেও। এত ধোঁয়া ছিল যে, দমকলকর্মীরা কাজ করতে পারছিলেন না। তাই দমকল দপ্তর ঠিক করেছে, চারটি রোবট আনবে। এর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ১০০ মিটার দূর থেকে রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেখানে খুব ধোঁয়ার জন্য ঢোকা যায় না, সেখানে রোবট ব্যবহার করা হবে বলে সুজিত বসু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর ব্যবস্থা নয়, আগুন লাগার আগেই সচেতন হতে হবে। এর জন্য রাজ্যজুড়ে প্রচারাভিযান করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর বাগরি মার্কেট কর্তৃপক্ষকে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম, তা নিয়েছে তারা। প্রতিটি বাজার, শপিং মল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উচিত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা। যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নিলে অগ্নিকাণ্ড রোধ করা সম্ভব।