বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মানবিক। কয়েকটি জেলায় বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে ধানের ক্ষতি হয়েছে। ফুল-ফলের ক্ষতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেছেন, কৃষকদের ক্ষতির জন্য কৃষিদপ্তর আর্থিক সাহায্য করবে। এর জন্য ১৩০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বিডিও, এসডিও, অতিরিক্ত জেলাশাসক বা জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে হবে। বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমরা ইতিমধ্যে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। সবাইকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী বিলি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।
সিপিএম বিধায়ক শেখ ইব্রাহিম আলির প্রশ্নের জবাবে জাভেদ খান বলেন, বন্যা, খরা সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রিপল, ধুতি, শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার কামিজ, শিশুদের পরনের জামা, কম্বল, চাদর সহ ‘ডিএমজি কিট’ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তা পাকাবাড়ি হোক বা কাঁচাবাড়ি। সব ক্ষেত্রেই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি টাকাও দেয়নি। জাতীয় বিপর্যয় ফান্ড থেকে নিয়ম অনুযায়ী বছরে দু’বার টাকা আসে। এর বাইরে কোনও টাকা আসেনি।
কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, যে কম্বল দেওয়া হচ্ছে, তা ব্যবহার করা যায় না। খুবই নিম্নমানের। গায়ে দিলে গা কুট কুট করে। জাভেদ খান বলেন, আগের তুলনায় বিভিন্ন জিনিসের গুণগত মান অনেক ভালো হয়েছে। তবু যদি কারও অভিযোগ থাকে, তাহলে বিডিও থেকে ডিএম পর্যন্ত যে কোনও অফিসারকে জানালে হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর জানতে চান, বুলবুলের জন্য কতগুলি আরসিসি জেটির ক্ষতি হয়েছে? তার জবাবে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ১০টি জেটির ক্ষতি হয়েছে। তা মেরামত করার জন্য ৮৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।