বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
নদীয়ার পান্নালাল ইনস্টিটিউশনে যেমন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে সাতটিরও বেশি পদ খালি। ২০১৩ সাল থেকে পিপি-র জন্য কাগজপত্র ডিআই অফিসে জমা দিয়ে এলেও স্কুল এখনও পিপি পায়নি। শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে এই পিপি আবশ্যিক একটি জিনিস। সেটি হাতে না পেলে স্কুলগুলিও নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে না। বছর দু’য়েক আগে এই স্কুলেই ইংরেজির একজন শিক্ষিকা এসেছিলেন পিপি-র প্রতিলিপি নিয়ে। স্কুলে শূ্ন্যপদ পূরণের চাপ থাকায় সাধারণ বদলির মাধ্যমে আসা ওই শিক্ষিকাকে নিয়োগ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই পিপি-র আসল অর্ডারের কাগজ এখনও স্কুলে এসে পৌঁছয়নি। ইতিমধ্যে, এই স্কুলেই পিওর সায়েন্স এবং ফিজিক্যাল এডুকেশনের দু’জন শিক্ষক যোগ দিতে আসার কথা। তাঁদের কাছেও পিপি-র প্রতিলিপি রয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেগুলিও স্কুলে এসে পৌছয়নি। এটা একটা স্কুলের উদাহরণ। বহু স্কুলে এরকম ঘটনা ঘটছে।
ইন্টিগ্রেটেড অনলাইন স্যালারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইওএসএমএস)-এর তথ্য বলছে, কয়েক হাজার শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা অবসর নিয়েছেন, চাকরি ছেড়েছেন বা প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য ডিরেক্টরেট অব স্কুল এডুকেশন (ডিএসই)-এর কাছে নেই। সেই পদগুলির সাপেক্ষে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তার হিসেবও নেই। অর্থাৎ, কোনও একটি জায়গা থেকে সেই ভেকেন্সিগুলি চেপে রাখা হচ্ছে। মূলত, সেটা বদলির আবেদন করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে বহু স্কুল সমস্যায় পড়ছে। দিনের পর দিন শিক্ষক সঙ্কট চলছে সেগুলিতে। বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারাও। এদিকে, বদলির সুযোগ পাওয়া প্রার্থীরাও আদতে তা কতটা পাওয়ার যোগ্য, সে নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে পোস্ট স্যাঙ্কশনিং মেমো ডিএসই হয়েই আসতে হয়। ফলে সেই হিসেব দপ্তরের কাছেও থাকে। কিন্তু শূ্ন্যপদের সাপেক্ষে পিপি আসে ডিআই অফিস থেকে। আর তা সরাসরি চলে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। ফলে কোনও অস্বচ্ছতা থাকলে চট করে তা ধরাও পড়ছে না। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, বার বার বিভিন্ন জায়গায় আমরা আবেদন করেছি, বিশেষ কারণে সাধারণ বদলি (ট্রান্সফার অন স্পেশাল গ্রাউন্ড) যাতে স্বচ্ছভাবে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, প্রার্থীরা প্রকৃত কারণ থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা অনভিপ্রেত। আমরাও শুনেছি স্কুলের হাতে পিপি পৌঁছনোর আগেই প্রার্থীরা তা আগে জেনে এসএসসি’র সুপারিশ নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে চলে আসছেন। এই প্রক্রিয়ায় বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে।