বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সবমিলিয়ে হাজার চারেক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা হতে চলেছে। যার জন্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। চাকরি পেতে যোগ্যতামান ছিল ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ, কম্পিউটারে মৌলিক জ্ঞান এবং বাংলা-ইংরেজিতে টাইপিংয়ের দক্ষতা। এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, ক্লার্কশিপ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আগে থেকেই এই পরীক্ষার বিজ্ঞাপন দেওয়া, আবেদনপত্র ঝাড়াই-বাছাই সহ সমস্ত কাজ হয়ে রয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষদিকে আমরা এই পরীক্ষা নেব। সূত্রের দাবি, করণিক নিয়োগে মূলত দু’টি পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রথম পর্বের লিখিত পরীক্ষা হবে মাল্টিপল চয়েজ ভিত্তিক। দেড় ঘণ্টার এই পরীক্ষায় ইংরেজি ও পাটিগণিতের উপর ৩০ নম্বর করে মোট ৬০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। বাকি ৪০টি প্রশ্ন থাকবে জেনারেল স্টাডিসের উপর। এই পরীক্ষায় পাশ করলে দ্বিতীয় পর্যায়ের মূল্যায়নে ডাকা হবে পরীক্ষার্থীদের। সেখানে বিস্তারিত উত্তর লিখতে হবে। এই পর্যায়ে ৫০ নম্বরের ইংরেজি এবং ৫০ নম্বরের বাংলা (হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি) ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করা হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলে কম্পিউটারে টাইপিং টেস্টের জন্য বিবেচিত হবেন সফল প্রার্থীরা। এক মিনিটে ইংরেজিতে এবং বাংলায় যথাক্রমে ২০টি এবং ১০টি করে শব্দ টাইপ করতে হবে তাঁদের। দু’টি লিখিত পরীক্ষা এবং টাইপিং টেস্টের নম্বর মিলিয়ে তৈরি হবে মেধা তালিকা। তার ভিত্তিতেই সফল প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শেষবার ২০০৭ সালে রাজ্য সরকারি অফিসে কেরানি নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল পিএসসি। তারপর ২০১৪ সালে রাজ্য স্টাফ সিলেকশন কমিশন এই পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই নিয়ামক এই সংস্থাকেই তুলে দেয় রাজ্য সরকার। ফলস্বরূপ এসএসসি’র ফেলে যাওয়া পরীক্ষার কাজ শেষ করতে ফের পিএসসি’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই হিসেবে প্রায় ১৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গভাবে ক্লার্কশিপ পরীক্ষার দায়িত্ব নিতে চলেছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এই পরীক্ষার জন্য রাজ্যজুড়ে ২৭টি কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে কমিশন। সেগুলি হল– কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, বারাকপুর, বারাসত, কৃষ্ণনগর, হাওড়া, চুঁচূড়া, বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, সিউড়ি, বহরমপুর, মালদহ, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং। পিএসসি’র এক কর্তার কথায়, দীর্ঘদিন পরে রাজ্যে ক্লার্কশিপ পরীক্ষা আয়োজন করতে চলেছি আমরা। এক্ষেত্রে পরীক্ষার সার্বিক স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কমিশন। বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছনোর বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর এবং পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করব আমরা। একই সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তরপত্র নকল করা কিংবা বিবিধ অসৎ উপায় রুখতে কমিশন বিবিধ পদক্ষেপ করেছে। এই প্রসঙ্গে পিএসসি’র ওই কর্তা আরও বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে নিজের নাম, রোল নম্বর কিংবা পরিচিতি সংক্রান্ত কোনও তথ্য লিখলে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ শতাংশ মার্কস কাটা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পুরোপুরি নিষিদ্ধ।