মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
এতদিন কৃষি বিপণন দপ্তর সুফল বাংলার মাধ্যমে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৩১টি স্টলে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছিল। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রেশন দোকান থেকে পরিবার পিছু এক কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে। আপাতত আগে এলে আগে পাওয়া যাবে, এই ভিত্তিতে এক দফা পেঁয়াজ দেওয়া হবে। একজন ডিলার এই দফায় ৮০ থেকে ১২০ কেজি পেঁয়াজ পাবেন বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকলেও পুরনো কাগজের কার্ড দেখালেও পেঁয়াজ দিতে বলা হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও এই উদ্যোগ শুরু করতে চাইছে সরকার। তবে এটা নির্ভর করছে পেঁয়াজ পাওয়ার উপর। কারণ পেঁয়াজের জোগানই খুব কম। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী পেঁয়াজ কেনার ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগে পোস্তায় ৩০টি পেঁয়াজের লরি আসত। সেটা এখন কমে ৫-৬টি হয়েছে। কোনও কোনও দিন তো দুটো লরি আসছে। কৃষি বিপণন দপ্তরকে পোস্তা থেকে দিনে ৪৮ টন পেঁয়াজ আপাতত দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলকাতার খুচরো অনেক বাজারেই রবিবার ১৪০-১৫০ টাকা টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কোথাও কোথাও অবশ্য ১২০ টাকা দরেও বিক্রি হওয়ার খবর এসেছে। পাইকারি বাজারে রবিবার পেঁয়াজের দাম ১০০ থেকে ১১৫ টাকা ছিল বলে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। পাইকারি বাজারের দরেই পেঁয়াজ কিনতে হবে কৃষি বিপণন পর্ষদকে। ওই পেঁয়াজ রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে রেশন ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হবে। রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়ছেন, ডিস্ট্রিবিউটরদের কেজিতে দুই টাকা করে দেওয়া হবে পরিবহণ খরচ বাবদ। পেঁয়াজ বিক্রির জন্য রেশন ডিলারদের কোনও কমিশন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু পেঁয়াজ নষ্ট, ওজন কমা, গুণগত মান নষ্ট হওয়া প্রভৃতির জন্য ডিলারদের কেজি প্রতি ৬ টাকা ৮ পয়সা করে সরকার দেবে বলে এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে। অর্থাৎ চড়া বাজার দামে কেনার পরও প্রতি কেজিতে সরকারের আরও ৮ টাকা খরচ হচ্ছে। এখন যা পাইকারি বাজারদর চলছে, তাতে এভাবে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে সরকারকে প্রতি কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা করে ভর্তুকি দিতে হবে।
বিদেশ থেকে যে পেঁয়াজ আসছে, সেটা পেলে সরকারের ভর্তুকি অনেকটাই কম হতো। বিদেশের পেঁয়াজের দাম কলকাতায় পৌঁছনোর পর ৬৫ টাকার আশপাশে থাকত। কিন্তু ওই পেঁয়াজ কবে আসবে, তা এখনও অনিশ্চিত। মিশর থেকে পেঁয়াজের জাহাজ কবে মুম্বই আসছে, তার নিশ্চিত খবর এখনও কৃষি বিপণন দপ্তরের কাছে নেই। বিদেশি থেকে এলে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টন করে, চার সপ্তাহে মোট ৮০০ টন পেঁয়াজ রাজ্যের পাওয়ার কথা।