মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
অতীতে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ বেড়ে যাওয়ার খবর এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যে সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল, তা না হওয়ায় বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সব বৈঠকে পূর্তদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ জানিয়েছিলেন, অনেক সময় জমি না পাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। ডিপিআর তৈরিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, মডেল ডিপিআর করে দিতে হবে। যা দেখে সব দপ্তর ডিপিআর করবে। তবে বিল্ডিং করার ক্ষেত্রেই মডেল ডিপিআরকে অনুসরণ করতে হবে। রাস্তা বা উড়ালপুলের ক্ষেত্রে অবশ্য আলাদা ডিপিআর তৈরি হবে।
সেই নির্দেশ পেয়েই সব দপ্তরের প্রধান সচিব, জেলাশাসকদের পূর্তসচিব গাইডলাইন তথা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করে দিয়েছেন। গাইডলাইনের সঙ্গে প্রতিটি দপ্তরকে একটি ফরম্যাটও দেওয়া হয়েছে। জমি পাওয়া গিয়েছে কি না, পাওয়া গেলে তার বিস্তারিত তথ্য, কী ধরনের প্রকল্প হবে, তার খুঁটিনাটিও উল্লেখ করতে হবে তাতে। সেই ফরম্যাটে সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ করার বিষয়টিও জানাতে হবে। পরবর্তী কালে বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি উল্লেখ করতে হবে।
আগে যে কোনও কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া হতো। এবার সব কাজের প্ল্যানিংয়ের সময় বেঁধে দিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, অনেক সময় দেখা যায়, কাজ করতে অনেক সময় লেগে যায়। এর অন্যতম কারণ হল, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরিতে অনেক সময় নেওয়া। দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সময়ে ডিপিআর হয়নি, তাই কাজ শেষ করা যায়নি। তাই ডিপিআর তৈরির সময় বেঁধে দিতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে ডিপিআর তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে দপ্তরের প্রধান সচিবদের অফিসে বসে রিপোর্ট নিলে হবে না, কাজের জায়গায় যেতে হবে। দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক শুধু নয়, জেলাশাসকদের এলাকায় গিয়ে কাজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে ১০৯টি পুরসভার ভোট। তার আগে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে সব দপ্তরের অফিসারদের কাজের জায়গায় গিয়ে সরেজমিনে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধান সচিবদের ঘরে বসে দপ্তর চালাতে তিনি বারণ করেছেন। তিনি চান কাজ হোক সময়ে এবং গুণগত মান বজায় রেখে। অফিসারদের আরও দায়িত্ববান হতে অনুরোধ করেছেন তিনি। কোথাও কোনও ত্রুটি হলে, তার জবাবদিহি করতে হবে অফিসারদেরই। সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।