পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অনুপম তাঁর ফেসবুক পেজে মন্তব্য করে বিজেপির গোপন ‘গেম প্ল্যান’ ফাঁস করে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন তৃণমূল মহাসচিব। ওয়াইসি সম্পর্কে পার্থবাবু বলেন, বাংলার সঙ্গে যাঁর কোনও সম্পর্ক নেই হঠাৎ তাঁকে তৎপর হতে হচ্ছে বিজেপিকে খুশি রাখতে। বিজেপির সেই গোপন এজেন্ডা এবার ধরা পড়ে গিয়েছে। অনুপমের দাবি, এবার বাংলায় মুসলিম সমাজে তৃণমূলের একচেটিয়া দখলদারি ঘুচে যাবে। ওই পোস্টে ব্যঙ্গের সুরে বলা হয়েছে, এবার দিদির প্রতিযোগী ঢুকে গেল বাংলায়। তাই মিমের প্রধান সাংসদ ওয়াইসিকে বাংলায় স্বাগত জানিয়েছেন গত লোকসভা ভোটে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অনুপম। শুধু লিখেই থামেননি তিনি। নিজের পোস্টের সঙ্গেই ওয়াইসিকে স্বাগত জানানো দেওয়াল লিখনের দু’টি ছবিও দিয়েছেন। দলের প্রতীক আঁকা একটি দেওয়াল লিখনের ছবিও দিয়েছেন অনুপম।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশের একটি সংগঠন রাজ্যে বিজেপির মদতে কাজ করছে। স্বাভাবিক কারণেই বিজেপি তা নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপমের পোস্ট বিজেপি-ওয়াইসি গোপন বোঝাপড়া ফাঁস করে দিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যদিও রাজ্য বিজেপির দাবি, অনুপমের বক্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ঘিরে রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রতিবাদে পথে নেমেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিচার করা চলবে না। তাঁর মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন করা। ধর্মের উপর ভিত্তি করে দেশের মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চাইছে। এই বিষয়ে ব্লক থেকে বুথ স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে নির্দেশ জারি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, বাংলায় প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষের আস্থা অর্জন করেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন মমতা। বিজেপির হিন্দুত্ব যত উগ্র হয়েছে, ততই মুসলমান সমর্থনের ভিত শক্ত হয়েছে তৃণমূলের পক্ষে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসি সম্পর্কে বিজেপি বিশেষত বাংলায় যেভাবে সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছে, তাতে মুসলমান ভোট তাদের পক্ষে শতচেষ্টা করেও ঘোরাতে পারবে না। কিন্তু উল্টোদিকে কংগ্রেস ও বামদের যেটুকু ভোট অবশিষ্ট, তাতে মুসলমান ভোট থাকলে তাও তৃণমূলের ঘরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলার মুসলমানদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর কাজ সারতে ওয়াইসির মিমকে এ রাজ্যে আমদানি করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, অনুপমের বক্তব্যের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। ওটা ওঁর ব্যক্তিগত অভিমত। ওয়াইসির সঙ্গে বিজেপিকে জড়িয়ে তৃণমূল অপপ্রচার করছে বলেই দাবি সায়ন্তনের।