বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির চালকদের অনেক সময়ই ‘রিফ্রেশার কোর্স’ করানো হয়ে থাকে। বেশ কয়েক মাস আগে কলকাতা পুলিসের বেলগাছিয়া ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলে এসবিএসটিসির চালকরা পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। চালকদের পথ সুরক্ষা, সিগন্যাল ব্যবস্থা সহ নানা বিষয় নিয়ে চর্চা হয়েছিল। এছাড়াও, বাস চালানোর দক্ষতা বৃদ্ধিতেও অনেক সময় নিগমগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে চালকদের জন্য এমন উদ্যোগের কথা খুব বেশি শোনা যায় না। সেই দিক থেকে নয়া পরিকল্পনা তাৎপর্যপূর্ণ।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে পরিবহণ দপ্তরে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে না হলেও আগে চালকদের জন্য এমন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের এই ধরনের কর্মসূচিতে রাজ্যের সহযোগিতার আর্জি জানানো হয়েছে চিঠিতে। সংগঠন সূত্রের খবর, সেইসব শিবিরে চালকদের চোখ সহ শারীরিক পরীক্ষার যেমন ব্যবস্থা ছিল, তেমনই সিগন্যাল, বাস চালানো সহ আরও নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথমত, আর্থিক কারণে অনেক চালকই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, কীভাবে বাস চালানো দরকার, তা নিয়েও নিরন্তর চর্চা জরুরি। সার্বিক এই বিষয়টি বিবেচনা করেই সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে সার্বিকভাবে বেসরকারি বাসের চালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের কর্মসূচি রাজ্যের পরিকল্পনাতেও রয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, সরকারি নিগমগুলির চালকদের তো এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েই থাকে। সংগঠনভাবে নয়, সার্বিকভাবে বেসরকারি বাসের চালকদের জন্যও প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা যেতে পারে। সেজন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই পদক্ষেপ করা হবে।