গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শনিবার বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার দাবি করেন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয় দীর্ঘদিনের। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে জিএসটি সংক্রান্ত দু’-তিনটি সমস্যা তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন বলে ওই অনুষ্ঠানে দাবি করেন রাজ্যপাল। এভাবে অন্য কোনও সমস্যা মেটাতেও তিনি আগ্রহী আছেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জিএসটি সম্পূর্ণভাবে রাজ্যপালের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। কোনও রাজ্যপালই জিএসটি নিয়ে মন্তব্য করেন না। রাজ্যপাল এ ব্যাপারে কিছু বলে থাকলে, সেটা কেন করলেন, তাতে অবাক হচ্ছি।
অমিতবাবু জানিয়েছেন, দেশের সংবিধান, আইন অনুযায়ী জিএসটি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে একমাত্র জিএসটি কাউন্সিলের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পদধিকারবলে এই কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এই কাউন্সিলের সদস্য। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আগে পর্যন্ত এই সংক্রান্ত একটি এমপাওয়ারড কমিটি ছিল। অমিতবাবু তাঁর চেয়ারম্যান ছিলেন। জিএসটি সংক্রান্ত কোনও নিয়ম, নীতি, করের হার পরিবর্তন করতে হলে কাউন্সিলের অনুমোদন লাগে। জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘ফিটমেন্ট কমিটি’ আছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব। রাজ্যের অর্থসচিবরা ওই ফিটমেন্ট কমিটির সদস্য। কোনও বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা নিয়ে প্রথমে ফিটমেন্ট কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ‘এজেন্ডা’ তৈরি হয়। তারপর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক আছে। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, জিএসটি জালিয়াতি করে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। কীভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, এটা আটকানোর ব্যাপারে সরকার কী ভাবছে, সেব্যাপারে অমিতবাবু ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন। জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হলে, তাতে রাজ্য সরকারেরও আর্থিক ক্ষতি হয়। কর বাবদ রাজ্য সরকারের যে আয় হয়, তার প্রায় ৬০ শতাংশ জিএসটি থেকে আসে।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই যে জিএসটি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিরোধ, বিবাদ প্রভৃতি দেখা দিলে, তার নিষ্পত্তি কাউন্সিলের মাধ্যমেই করতে হবে। রাজ্যপালের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই। তাহলে রাজ্যপাল কেন এরকম একটা দাবি করলেন, সেটা তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না।