রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
খাদ্য দপ্তরের ডাকা বৈঠকে ধান সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত সব আধিকারিক ছাড়াও রাইস মিল মালিকদেরও ডাকা হয়েছে। ধান কেনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত পারচেজ ম্যানেজার, ইন্সপেক্টর প্রমুখদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকরা আলোচনা করবেন। কলকাতায় ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের সভায় দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলা থেকে আধিকারিক ও রাইস মিল মালিকরা আসবেন। সমবায় সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা থাকবেন মহাজাতি সদনে সমবায় দপ্তরের ডাকা বৈঠকে। খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও ওই বৈঠকে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ও থাকবেন।
নতুন ধান ওঠার পরই ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের তা বিক্রি করার বেশি ঝোঁক থাকে। কারণ ধান বিক্রি করে তাঁদের নগদ টাকার প্রয়োজন থাকে। রবি চাষ করার জন্য চাষিদের হাতে এই সময় টাকা থাকা খুবই প্রয়োজন। এই সময় সরকারি উদ্যোগে ব্যাপকভাবে ধান কেনা না হলে চাষিরা যে ফড়ে-ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হবেন, এটা খাদ্য দপ্তর জানে। এটা আটকাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। গ্রামে গ্রামে বিশেষ প্রচার অভিযান চালিয়ে বলা হবে, কম দামে ধান বিক্রি না করে সরকারের কাছে ন্যায্য দামে তা যেন বিক্রি করা হয়। সরকার নির্ধারিত ১৮১৫ টাকা কুইন্টাল দরে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে। স্থায়ী কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি আরও ২০ টাকা বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে। ধান কেনার জন্য ৩৪২টি স্থায়ী কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
ধান কেনার জন্য অর্থের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ২৭০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হচ্ছে। ধান কেনার কাজে যুক্ত সরকারি সংস্থাগুলি এই ঋণ নিচ্ছে। ঋণের গ্যারান্টার হচ্ছে রাজ্য সরকার। এছাড়া রাজ্য অর্থ দপ্তরও অগ্রিম টাকা দেবে। ধান বিক্রির টাকা চাষিদের চেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
এবারও খরিফ মরশুমে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আছে সরকারের। এখনও পর্যন্ত চলতি মরশুমে ১ লক্ষ ৭ হাজার কুইন্টাল ধান কেনা হয়েছে। নতুন ধান ওঠার পর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কিনে নিতে চাইছে সরকার। এই সময়েই ছোট ও প্রান্তিক চাষিরা মূলত ধান বিক্রি করেন। ফড়েদের আটকাতে একজন চাষির কাছ থেকে ধান কেনার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৫ কুইন্টাল থাকছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত চাষিদের পোর্টালটি ধান সংগ্রহে ব্যবহার করবে খাদ্য দপ্তর। কোনও ভাগচাষি ধান বিক্রি করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিডিও-কাছে আবেদন করবেন। বিডিও-র অনুমোদন নিয়ে তিনি ধান বিক্রি করতে পারবেন। ভাগচাষির নাম করে ফড়েদের ধান বিক্রি আটকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।