কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারই দায়ী। কেন্দ্রের যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেওয়ার কথা, তা তারা দেয়নি। যেটুকু দিয়েছে, সেটুকু পচা ও নিম্নমানের। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে রাজ্যে ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ লাগে। কিন্তু বর্তমানে ২০ হাজার টনও আসছে না। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানার মতো পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে অতিরিক্ত বর্ষণের জন্য সারা দেশেই ফসলটির সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সাধারণত মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসে এরাজ্যে। সঙ্কট কাটাতে রাজস্থানের আলোয়ার থেকেও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। এছাড়াও মিশর থেকে মুম্বই বন্দরে ৮০০ টন পেঁয়াজ আসবে। ১৫ ডিসেম্বর তা রাজ্যে চলে আসবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কৃষি ও কৃষি বিপণন দপ্তরের প্রধান সচিব সুনীল গুপ্তা, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ আগরওয়াল সহ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ৯০০ রেশন দোকান ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০০ স্টল থেকেও ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারের এই জনমুখী উদ্যোগে কিছুটা হলেও বহু মানুষ সুরাহা পাবেন বলে মনে করছেন অফিসাররা। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে পেঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ব মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাজারে বাজারে হানা দিচ্ছেন। নবান্নের তরফে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। রেশন দোকান থেকে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিনের এই সিদ্ধান্ত অনুসারে পেঁয়াজের জোগান বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এজন্য পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।