গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎবাবু লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। শুক্রবার জেলা সভাপতি হিসেবে পুনরায় তাঁর নামই ঘোষণা করা হয়। সেই কারণেই তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। গাড়ির ভিতরটা তখন ধোঁয়ায় ভর্তি। জেলা সভাপতির শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
বহরমপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অভিজিৎবাবুদের গাড়ির চালক ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। গাড়ির সামনের দিকে একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণেই সামনে বসা অভিজিৎবাবু গুরুতর জোট পান এবং পরে মারা যান। তবে, বাকিরা রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। ঘটনার পর ট্রাক চালকও গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। গাড়ির চালক বলেন, হঠাৎ করেই জাতীয় সড়কে কুকুর চলে আসে। কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অভিজিৎবাবুর বাড়িতে বাবা, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। তাঁর এক ভাইও পথ দুর্ঘটনায় আগে মারা গিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎবাবু অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শিলিগুড়িতে সংগঠন মজবুত হয়। তাঁর মৃত্যুতে দলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফের জেলা সভাপতি হিসেবে অভিজিৎবাবু দায়িত্ব পাওয়ায় এদিন শিলিগুড়িতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল অনেক ফুলের মালা ও তোড়া। তৈরি ছিলেন তাঁর অনুগামী ও দলীয় কর্মীরা। অভিজিৎবাবু তাঁর নিজের প্রিয় শহরে ফিরলেন। কিন্তু, কর্মী, সমর্থক, অনুগামীদের সেই ফুল তাঁর হাতে উঠল না, নিবেদিত হল চরণে।