রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হায়দরাবাদে মহিলা চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমবেশি সব রাজ্যই কর্মরত মহিলাদের সুরক্ষার জন্য সক্রিয় হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কর্মরতাদের সুরক্ষার জন্য অভিনব প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সেখানে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কর্মরত মহিলারা বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় বিপদে পড়লে পাঞ্জাব পুলিসের গাড়ি তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। পাঞ্জাব পুলিসের মতোই সক্রিয় হয়েছে এরাজ্য। তাই কলকাতা পুলিসের এই উদ্যোগ।
তবে মাথায় রাখতে হবে, কলকাতা পুলিসের এমন উদ্যোগ এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কলকাতা পুলিসের বাছাই করা ২৮ জন মহিলা কর্মীকে নিয়ে ‘উইনার্স’ নামে একটি মহিলা বাইক বাহিনী গঠন করা হয়। মূলত, শহরের বিনোদন পার্ক, শপিং মল, পার্ক স্ট্রিট, ভিক্টোরিয়ার মতো এলাকায় ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে এই মহিলা বাইক বাহিনী গড়েছিল লালবাজার। উইনার্সের সাফল্যের পর এবার এই নয়া বাহিনী গড়া হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিবারাত্রি অর্থাৎ ২৪x৭ এই বাহিনী টহল শহরে দেবে। তবে রাতের শহরে এই বাহিনী বাড়তি সক্রিয় থাকবে। প্রতিটি গাড়িতে অন্তত একজন করে মহিলা পুলিস কর্মী থাকবেন। কর্মরত মহিলাদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজনে পথে নামা মহিলারা বিপদে পড়লে ‘১০০ ডায়াল’, ‘মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন ১০৯১’ বা ‘১১২’-এর মতো কলকাতা পুলিসের অন্যান্য হেল্পলাইনে ফোন করলেই, এই নয়া বাহিনী তাঁদের সাহায্য করতে ছুটে যাবে। বর্তমানে কলকাতা পুলিসের প্রতিটি আপদকালীন হেল্পলাইনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০টি করে ফোন আসে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মহিলা থানা সহ শহরে মোট থানার সংখ্যা ৭৮। ফলে ৭৫ গাড়ি বিশিষ্ট এই নয়া বাহিনী তৈরি হলে, কার্যত কলকাতার সব থানা এলাকাতেই টহলদারি চালানো সম্ভব হবে। লালবাজারের কর্তাদের বিশ্বাস, সেক্ষেত্রে একধাক্কায় মহানগরীতে মহিলাদের সুরক্ষা অনেকটাই বাড়বে।