গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই রাজ্যের জন্য কোনও বিশেষ প্যাকেজ বা ঋণমুক্তির দাবি নয়, আইনের মাধ্যমে বিশেষ আর্থিক সহায়তা চাইছি। সেই মতো ‘দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাসিটেন্স টু দ্য স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল বিল ২০১৯’ আনা হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন, কোনও দয়াদাক্ষিণ্য নয়। আইনের বেঁধেই প্রাপ্য আদায় করতে চাইছি। গরিবদের পাশাপাশি গোটা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেতেই এই বিল। এ ব্যাপারে অধীরবাবু বলেন, সরকারে যেই থাকুক, রাজ্যের ওপর আমারও কারও চেয়ে অধিকার কম নয়। সেই অধিকারেই এমপি হিসেবে সংসদে বিল এনে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইছি।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও রাজ্যের উন্নয়নের প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে তিনি আছেন বলে আগেই জানিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে অধীরবাবুকে জেলাশাসকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা এর আগে কোনওদিন হয়নি। সংসদের শীতকালীন চলার পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণের চিঠি পাওয়ায় অধীরবাবু ওই বৈঠকে অংশ নিতে না পারলেও লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা বলেছিলেন, ‘উন্নয়নের প্রশ্নে আমি দিদির পাশে আছি।’
অন্যদিকে, লোকসভার নিয়মাবলীতে কয়েকটি পরিবর্তন আনলেন স্পিকার ওম বিড়লা। আগে যেখানে একটি অধিবেশনে একজন সদস্য কত প্রাইভেট মেম্বার বিল আনতে পারবেন, তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা ছিল না। যত খুশি আনা যেত। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে এবার থেকে একটি অধিবেশনে একজন এমপি তিনটির বেশি প্রাইভেট মেম্বার বিল আনতে পারবেন না। একইভাবে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ১০ টির বেশি সংশোধন তথা কাট মোশন আনা যাবে না বলেই লোকসভার নিয়মাবলীতে বদল আনলেন স্পিকার ওম বিড়লা।