কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আধিকারিক এবং কর্মিমহলে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের বক্তব্য, অর্ডারে বলা হয়েছে দপ্তরের অধীন ডিরেক্টরেট এবং প্যারাস্ট্যাটাল বডিকে নির্দেশগুলি মানতে হবে। এমনকী, ফিল্ড ভিজিটের রিপোর্ট এবং তাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেগুলিও জানাতে হবে। কিন্তু ওই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট (পিবিএসএসডি)-এর প্রকল্প অধিকর্তাকেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেটি পুরোপুরি স্বশাসিত সংস্থা। তাছাড়া, শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের বিষয় সেটি নয়। অন্যান্য দপ্তরও তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তার ফাইল যদি মন্ত্রীর কাছে যায়, তাহলে অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রীদের কাছেই বা যাবে না কেন?
বিভিন্ন দপ্তরের প্রশিক্ষণের বিষয়গুলি এক ছাতার নীচে আনার জন্য একটি কাউন্সিল তৈরি করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। সেই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এর ভাইস চেয়ারম্যান অর্থ ও শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী অমিত মিত্র। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব হিসেবে এর আহ্বায়ক রোশনি সেন। কারণ এই দপ্তরকেই প্রশিক্ষণ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই কাউন্সিলের অধীনেই রয়েছে পিবিএসএসডি। যার চেয়ারম্যান রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তার ভাইস চেয়ারম্যান রোশনি সেন। এই বডিগুলিতে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ছাড়া অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রীরাও রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট। তার চেয়ারম্যান হন মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত কোনও ব্যক্তি। পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হন কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের সচিবই। এটিও একটি স্বশাসিত সংস্থা।
কর্মী-আধিকারিকদের বক্তব্য, এগুলির কাজকর্ম কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের নজরদারিতেই থাকে। কিন্তু এগুলির মাথায় কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী রয়েছেন, তা সরাসরি বলা যায় না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রী বা মুখ্যসচিবরাও রয়েছেন। পদাধিকার বলে কেউই পূর্ণেন্দুবাবুর চেয়ে নীচে নন। তাহলে কেন এই ফাইলগুলি তাঁর কাছে যাবে? এই অর্ডারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সচিব বলেন, কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীর নির্দেশেই এই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আমাদের দপ্তরের অধীন সংস্থাগুলির প্রতিই এই নির্দেশ। মাথায় রাখতে হবে, স্বশাসিত সংস্থা এবং স্বাধীন সংস্থা কিন্তু এক নয়। স্বশাসিত সংস্থার নিজস্ব কোনও আয় তো থাকে না। তারা সরকারি দপ্তরের অর্থই ব্যয় করে। সেক্রেটারিয়েট ম্যানুয়ালেই বলা হয়েছে, দপ্তরের মন্ত্রী যে কোনও ফাইল চাইতে পারেন। তা মেনেই এই অর্ডারটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। আর কারও যদি কোনও কিছু গোপন করার না থাকে, তাহলে ফাইল পাঠাতে সমস্যা কোথায়? আর আমি বা মন্ত্রী কেউই ফাইল পাঁচ-১০ মিনিটের বেশি আটকে রাখি না। তা দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগও তোলা যাবে না।