পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বড় রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র কমার হার বেশি। হিসেব মতো ২০১১-১২ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত এই ক’বছরে বাংলায় সার্বিকভাবে দারিদ্রের হার কমেছে। বাংলার পরে স্থান গুজরাত ও তামিলনাড়ুর। এই দুই রাজ্যে দারিদ্র কমেছে পাঁচ শতাংশ হারে। অন্যদিকে, বড় রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রে দারিদ্র বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি— পাঁচ শতাংশ। যোজনা কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বাংলায় ১৯.৯৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করতেন। গ্রামে দারিদ্রের হার ছিল ২২.৫২ শতাংশ। অর্থাৎ সংখ্যার বিচারে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ দারিদ্রীমার নীচে বসবাস করতেন। শহরে তখন দারিদ্রের হার ছিল ১৪.৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ শহরে ৪৩ লক্ষ ৮৩ হাজার মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গ্রাম ও শহরের মানুষের চাহিদা এবং খরচ বিচার করে সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।
সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গ্রামীণ ভারতে দারিদ্রের হার বেড়েছে চার শতাংশ। অর্থাৎ ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু বাংলায় দারিদ্রের হার কমেছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এর অন্যতম কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী কর্মসূচি। একেবারে তৃণমূলস্তরে মানুষের রোজগার বাড়াতে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তিনি। তাছাড়াও ১০০ দিনের কাজের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হন, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে মমতার সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব জনমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, সবুজসাথী, সবুজশ্রী, কৃষকবন্ধু, সমব্যাথী প্রভৃতি। কৃষকদের আয় বাড়াতে কৃষিঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিনা পয়সায় চাষের বীজ দেওয়া হয়। কৃষকদের বিমার টাকা পুরো দিচ্ছে মমতার সরকার। গ্রামের মানুষের আয় বাড়াতে বাড়ি বাড়ি হাঁস, মুরগি দেওয়া হচ্ছে। তা প্রতিপালন করে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মমতা চান, গরিব মানুষের আয় বাড়ুক। তারা যেন সচ্ছল থাকে। গরিব মানুষের জন্য নেওয়া প্রকল্পগুলি ঠিকমতো চলছে কি না, জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই সুফল মিলেছে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।