রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন, এমন অভিযোগে সরব হয়েছিল শাসকদল। এবার সরাসরি প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে বাধা তৈরির অভিযোগ তোলা হল। রাজ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই বিলের খসড়া তৈরি করে তা রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়। এদিন পর্যন্ত তা ছাড়পত্র পায়নি। কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া রাজ্যপালের কারণে বিলম্বিত হওয়ায় দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তা আসেনি। ফলে বিল ছাপানো যায়নি। তাই বিধানসভা অধিবেশনের কোনও কাজ না থাকায় দু’দিন সভা মুলতুবি থাকার পর ফের ৬ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে। সূত্রের দাবি, এছাড়া শিক্ষা দপ্তরের একাধিক বিলের খসড়া রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। সবই আটকে রয়েছে সেখানে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা অধিবেশনে পাশ হওয়া গণপিটুনি রোধ বিল পাশ হওয়া সত্ত্বেও তা রাজ্যপালের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর পায়নি। ফলে ওই বিল আইনে পরিণত করে কার্যকরের রাস্তাও বন্ধ। এই নিয়েও শাসকপক্ষ যথেষ্ট বিরক্ত।
বিল আটকে থাকার দায় রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বলে শাসকদলের দাবি খণ্ডন করেছে রাজভবন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের তরফে জারি করা বিবৃতি অনুসারে তফসিলি জাতি-উপজাতি কমিশন বিল ২০১৯, গত ২৯ নভেম্বর রাজভবনে জমা পড়ে। ৩ ডিসেম্বর অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরে সচিবকে চিঠি দিয়ে ওই বিষয়ে বিশদে জানতে চান রাজ্যপাল। ২৯ তারিখে নবান্নের তরফে বিলের খসড়া পেয়েই ৩ তারিখে ওই আধিকারিককে ডেকে পাঠান। ৩০ নভেম্বর ও পয়লা ডিসেম্বর দু’দিন শনি ও রবিবার পড়ে যাওয়ায় ৩ তারিখ সময় দেওয়া হয়েছিল। লিফট, এসকালেটর, ট্রাভেলটর বিষয়ক একটি বিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তাঁকে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানানো হয়। রাজভবনের দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি। পুর বিষয়ক একটি সংশোধনী বিলের বিষয়ে গত ১১ নভেম্বরে নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দেন রাজ্যপাল। দীর্ঘদিন সেই চিঠির জবাব মেলেনি। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন। তাঁকে সেই মতো সময়ও দেওয়া হয় বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে। একইভাবে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিল ও অ্যাপার্টমেন্ট ওনারশিপ সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের তলব করলেও তাঁরা সাড়া দিতে দেরি করেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেই কারণে বিল নিয়ে রাজভবনের দিকে তোলা অভিযোগ মানতে অস্বীকার করে পরোক্ষে শাসকদলকেই বিঁধেছেন ধনকার।