পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ২২ নভেম্বর কেন্দ্রের মন্ত্রক থেকে প্রতিবন্ধীদের অধিকার বিষয়ক বিভাগের ডিরেক্টর কে ভি এস রাও সব রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবদের ওই চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, অধিকাংশ রাজ্যই ২০১৬ সালের নয়া আইনের যাবতীয় ধারা কার্যকর করেনি। প্রতিবন্ধীদের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা সঠিক নয় বলে ইঙ্গিত দিয়ে সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, শিক্ষা ও চাকরিতে নির্দিষ্ট সংরক্ষণ এবং সামাজিক কল্যাণের কাজে বাড়তি ২৫ শতাংশ মজুরির বিধি কার্যকর করার যে দাবি সর্বভারতীয় সংগঠন ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম ফর দ্য রাইটস অফ দ্য ডিসএবেল্ড করেছে, সে বিষয়গুলিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করেছে ১৫ ডিসেম্বর। এর মধ্যে রাজ্যগুলিকে এব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
এই চিঠিকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল এদিন বলেন, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে আমাদের মতো সক্ষম মানুষদের বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত নিয়ে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে রাজনীতি করা অর্থহীন। কারণ, মানবধর্মের থেকে কোনও ধর্ম বড় হতে পারে না। তাই কেন তিন বছর আগে সর্বভারতীয় আইন তৈরি হওয়া সত্ত্বেও তার সুবিধা রাজ্যের প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেন না, সেটা অবশ্যই আলোচিত হওয়া উচিত। তবে কেন্দ্র যে চিঠি দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি লিখে জানতে চাইব।
রাজ্যপালের মতো প্রথমবারের জন্য এদিন তৃণমূল সরকারের হয়ে আসা মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, নতুন আইনের বিষয়গুলি বলবৎ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর দপ্তর। আরও ১৯টি দপ্তর প্রতিবন্ধীদের এই বাড়তি সুবিধাগুলি দেওয়ার ব্যাপারে যুক্ত হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে নানা বিধিও। প্রতিবন্ধীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ‘মানবিক’ বলে যে বিশেষ প্রকল্প চালু করেছেন, তাতে আগের তুলনায় বেশি ভাতা হাতে পাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। তৈরি করা হয়েছে পৃথক একটি কমিশনও। রাজ্য স্তরে পরামর্শদাতা বোর্ডও গঠিত হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, মন্ত্রী এখানে অনেক দাবি করেছেন। এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা, সেটা ভালো জানেন ভুক্তভোগীরাই। তাই বাস্তবোচিত যে আন্দোলন কর্মসূচি সম্মিলনী নেবে, আমরা তার পাশে থাকব। মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনের প্রাণপুরুষ কান্তিবাবু বলেন, কোনও হুমকি দিচ্ছি না। তবে আইন কার্যকর করার জন্য আমরা সরকারকে তিন মাস সময় দেব। তারপর জেলাশাসকদের দপ্তরের সামনে লাগাতার অবস্থানে বসতে বাধ্য হব।