বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ওই বাঁধ ভাঙার ঘটনা উল্লেখ করেন প্রবীণ বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি। রাত তিনটের সময় কিছু দুষ্কৃতী বাঁধের ক্ষতি করেছে। এর ফলে রতুয়া ব্লকের ছ’গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছি। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। একজন এমপি’র উস্কানি ছিল। তিনি উত্তেজিত করেছিলেন। গঙ্গার ভাঙন রোধে আমাদের যে কাজ করার কথা ছিল, তা ইতিমধ্যে অনেকটা আমরা করেছি, বাকিটাও করে ফেলব।
তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লার লিখিত প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ফরাক্কা ব্যারেজের ৬৫ কিমি উজানে এবং ৯৮.৫ কিমি ভাটায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলায় প্রবাহিত গঙ্গা-পদ্মার ১৬৩.৫ কিমি নদীপথের দু’পাড় অত্যন্ত ভাঙন প্রবণ। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই তিন জেলায় গঙ্গানদীর ভাঙনের ফলে প্রায় ২১৫০ হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ওই সময়ে সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১৮০ কোটি টাকা। গঙ্গা-পদ্মার এই বিপুল অংশের ভাঙন প্রতিরোধ করার কাজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সীমাবদ্ধ আর্থিক ক্ষমতার কারণে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনরোধের কাজ করার জন্য রাজ্য সরকার একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই সমস্যা সমাধানে কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। রাজ্য সরকার তার সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্য দিয়ে গত তিন বছরে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জোলয় ২১টি ভাঙনবিরোধী কাজ সম্পন্ন করেছে। যার মোট খরচ হয়েছে ১১১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। এছাড়া রাজ্য সরকার ২০১৯-২০ তে ১১.৫৬ কিমি ভাঙন প্রবণ অংশে আরও ১৯টি কাজের পরিকল্পনা করেছে। যাতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
এদিন বিধানসভায় কার্যত শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান শুভেন্দু অধিকারী। শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার তিনি প্রথম বিধানসভায় আসেন। বেলা ১১টার আগে অধিবেশন কক্ষে ঢোকার পর একের পর এক বিধায়ক শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। অনেক বর্ষীয়ান বিধায়ক নিজের আসন থেকে উঠে এসে খড়্গপুরের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান এই তরুণ তুর্কি নেতাকে। শুভেন্দু প্রতি নমস্কার জানান সকলকে। উল্লেখ্য, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র খড়্গপুরে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের জয়ের কারিগর হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকও তিনি। এদিন বিধানসভা থেকে ফের খড়্গপুরে যান শুভেন্দু অধিকারী।