পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে শুধু খড়্গপুরেই নয়, উপনির্বাচনে বাকি দুটি কেন্দ্রেও প্রধান প্রতিপক্ষ গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ। এই কেন্দ্রেও আগে কখনও জেতেনি তৃণমূল। করিমপুর কেন্দ্রে এবার বিজেপি তাদের অন্যতম নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে দাঁড় করিয়ে বাজিমাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের হাওয়ার বিপরীতে হেঁটে সেখানেও তৃণমূল তাদের বিজয়রথ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই দুই কেন্দ্রেও যাতে মমতা গিয়ে বিজয় সমাবেশ করেন, দলের মধ্যে সেই দাবিও উঠেছে। মমতা অবশ্য বলেছেন, সব জায়গাতেই তিনি যাবেন সময় ও সুযোগ বুঝে। এ মাসের মাঝামাঝি সময় প্রশাসনিক কাজে তাঁর নদীয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন করিমপুরে তিনি একবার যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০০ জনের উপর বিধায়কের দল মাত্র তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়কে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে? স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। পর্যবেক্ষকরা অনেকে অবশ্য এর জুতসই ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, লোকসভা ভোটের সময় রাজ্যে যেভাবে নরেন্দ্র মোদির দলের পক্ষে জোরালো হাওয়া উঠেছিল, তা মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই অনেকটা চুপসে গিয়েছে—তিনটি উপনির্বাচনের ফলকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যবাসীকে সেই বার্তাই দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি জনসংযোগের অভাবের সমস্যাও যে তাঁরা অনেকটা কাটিয়ে উঠে ফের আগের মতো চাঙা হয়ে উঠেছে, মানুষকে সেটাও বোঝাতে চান তিনি। সেই কারণে উপনির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিকের বিষয়টি কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট তিন কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ না রেখে রাজ্যব্যাপী প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে নেতৃত্ব। আগামী বছর পুরসভা এবং পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে কোনও বাড়তি সুবিধা না পায়, সেই কারণে এখন থেকেই এই তিন কেন্দ্রের জয়কে হাতিয়ার করার পরিকল্পনা করেছে তারা। তবে এই পরিকল্পনার পিছনে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শও রয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।