বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবার থেকে কোনও সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে ‘জীবনশক্তি’ সরকারি অ্যাপ দেখে, নিকটবর্তী যে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত আছে, সেখান থেকে রক্ত পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানকার কর্তব্যরত কর্মীকে সেই ব্লাড ব্যাঙ্কে কথা বলে এবং রোগীর জন্য সুর্নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত ‘বুক’ করে তবেই তাঁকে সেই ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠাতে হবে। রক্ত পেতে গিয়ে রোগী ও বাড়ির লোকজনের চূড়ান্ত হয়রানি বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হল বলে জানানো হয়েছে ওই সরকারি চিঠিতে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রতিটি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ককে কোন গ্রুপের রক্ত এবং রক্তের উপাদানের স্টক কত আছে, তা রোগী ও বাড়ির লোকজনের জ্ঞাতার্থে জানাতে হবে। এতে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে। রোগী ও বাড়ির লোকজনেরও সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস (ফিবডো)-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং জাতীয় রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের পরিচালন সমিতির সদস্য বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে আসছিলাম যে রোগী বা বাড়ির লোকজনের হয়রানি বন্ধে মোটেই সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অহেতুক হয়রানি হচ্ছে, রেফার হচ্ছে। নয়তো ডোনার আনতে বলা হচ্ছে। সরকার সম্প্রতি এই যে নির্দেশ দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি এটাও ঘটনা, হাসপাতাল নির্ভর বেশিরভাগ প্রাইভেট ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডোনার আনতে বলছে। আউটডোর শিবির করাতেও তাদের অনীহা। এই বিষয়টিও যেন দেখা হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম-এর রাজ্য সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের রক্ত সংক্রান্ত পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য অপূর্ব ঘোষ বলেন, নির্দেশ তো ভালোই। কিন্তু, কতটা বাস্তবে মানা হবে, সন্দেহ। আর মানা না হলে, মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়বে। তাই নির্দেশ রূপায়ণে স্বাস্থ্যকর্তাদের সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।