রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সমস্যাগুলি কী কী? এজেন্টদের প্রধান অভিযোগ, স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে যেভাবে সুদের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে সাধারণ মানুষের এই প্রকল্পগুলির উপর থেকে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসা হারাচ্ছেন এজেন্টরা। পাশাপাশি তাঁদের এজেন্ট কমিশনও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। শুধু কমিশন কমানোই নয়, বয়স্কদের জন্য সেভিংস স্কিম, সুকন্যা সমৃদ্ধি বা পিপিএফের মতো স্কিমগুলিতে তাঁদের কোনও কমিশন দেওয়ার বন্দোবস্তই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে এসবের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু দাবিদাওয়া আছে, যা তাঁদের পেশাগত সমস্যা তৈরি করছে বলে দাবি করেছেন এজেন্টরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ এজেন্ট এই পেশায় যুক্ত। অথচ তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারকে এব্যাপারে বলেও যেমন কোনও কাজ হয়নি, তেমনই কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকারও। অসংগঠিত শ্রমিকের মর্যাদা পেলেও তাঁরা কিছু সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারতেন। কিন্তু সেই মর্যাদাও তাঁদের দিতে রাজি নয় সরকার, দাবি করেছেন নির্মলবাবুরা। তিনি বলেন, শ্যামলা গোপীনাথ কমিটি স্বল্প সঞ্চয়ের নিরিখে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল, তাকে সরিয়ে ২০০১ সালের ওয়াই বি রেড্ডি কমিশনের কথা মেনে চললে আমাদের এই সঙ্কটময় অবস্থা হতো না। আমাদের দাবি সেই কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হোক।
এজেন্টদের দাবিগুলির মধ্যে আছে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ বোনাস চালু করার বিষয়টিও। মান্থলি ইনকাম স্কিমের ঊর্ধ্বসীমা ন’লক্ষ টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা করার মতো দাবির পাশাপাশি রয়েছে পোস্ট অফিসের কর্মীদের দুর্ব্যবহার, অসহযোগিতার অভিযোগ বা এজেন্সি নবীকরণের হ্যাপা। এজেন্টরা বলছেন, তাঁদের বছর বছর এজেন্সি রিনিউয়ালের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং অটো রিনিউয়ালের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যেভাবে বাজারদর বাড়ছে, তাতে অন্তত দু’শতাংশ কমিশন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, বছর কয়েক আগে গোটা দেশে পোস্ট অফিসগুলিতে কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু করার নামে এক নরক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন গ্রাহকরা। লিঙ্ক না থাকার সমস্যা এখনও জীবন্ত। এখন পরিষেবা বলে ডাকঘরে আর কোনও বস্তু নেই। এখন সেবা নয়, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই বেশি পরিচিতি পেতে চাইছে ডাকঘর। এজেন্টরা যাতে কাজ না পান, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিকে ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রাজ্য সরকারও আগে যেভাবে স্বল্প সঞ্চয়ের হয়ে প্রচার করত, সেটিও একপ্রকার বন্ধ। সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।