কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোন ধরনের শস্যে কী হারে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেচসেবিত ফসলের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা হারে সাহায্য মিলবে। বৃষ্টির জলে চাষ হলে হেক্টর প্রতি ৬৮০০ টাকা হারে আর্থিক সাহায্য মিলবে। কোনও চাষে একাধিক মরশুমে ফলন হলে হেক্টর প্রতি ১৮ হাজার টাকা হারে সাহায্য দেবে সরকার। ঘূর্ণিঝড়ে ধান চাষের সঙ্গে পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। পান বরজে একাধিক মরশুমে ফলন হয়ে থাকে। মাঠের ফসলের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাহায্য এক হাজার টাকা থাকলেও একাধিক ফলন হয় এমন চাষে সবথেকে কম দুই হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কাছে সরকারি সাহায্যের টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এনইএফটি বা আরটিজিএস করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হবে। অবশ্য প্রত্যেক সাহায্যপ্রাপককে কৃষি দপ্তরের তরফে চিঠি দেওয়া হবে। ওয়েবেল এই চিঠি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠিয়ে দেবে। জেলার কৃষি দপ্তরের অফিস থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত চাষির কাছে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির জন্য সরকারের আর্থিক সাহায্য পেতে নির্দিষ্ট ফর্মে ব্লকের কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তার অফিসে আবেদন করতে হবে। জমির পরচা, আধার, ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে হবে। কৃষি দপ্তর আবেদনকারীর তথ্যগুলি যাচাই করবে। তারপর ওই মৌজায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এবং চাষির জমির পরিমাণের ভিত্তিতে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। সব কিছু যাচাই করার পর ব্লক অফিস থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত চাষিদের তালিকা ও সাহায্যর পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য দপ্তরের জেলা অফিসে পাঠানো হবে। জেলা অফিস থেকে আর্থিক সাহায্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাপকদের তালিকা ব্যাঙ্কে পাঠানো হবে। ব্যাঙ্ক ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে। এবার ব্লক পর্যায়ে অনুষ্ঠান করে চাষিদের হাতে চেক তুলে দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। তবে সাহায্যপ্রাপ্তির চিঠি এভাবে দেওয়া হতে হবে।
কৃষি দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা মৌজা ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করবেন। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধান চাষে। ঝড়ে ধানের গাছ নুইয়ে জলের মধ্যে পড়ে গেলে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে। এই ধরনের ক্ষতি দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশি হয়েছে। ধান কাটার পর ক্ষতির মাত্রা ভালোভাবে বোঝা যায়। ধান কাটার সময় চলে এসেছে। ফসল কেটে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বোঝার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি দপ্তর। তা ছাড়াও কোন মৌজায় চাষের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণের আরও কয়েকটি পদ্ধতি আছে। সেগুলি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। যে চাষিদের বিমা করানো আছে, তাঁদের বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও কৃষি দপ্তরের ক্ষতি নির্ধারণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যাবে। বহু চাষি এখন বিমা করিয়ে রাখেন। কারণ বিমার প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার বহন করে।