বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার লালবাজারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানাচ্ছেন, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে। তারা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা পুলিসকে ওই নাবালকের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিসের দেওয়া এই রিপোর্টের পাশাপাশি ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করা হবে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে নির্ভয়াকাণ্ডে নাবালকের ‘হিংস্রতা’ ও ‘উগ্রতা’ প্রকাশ্যে এলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। তখনই দাবি ওঠে, ধর্ষণ, খুনের মতো গুরুতর আপরাধে নাবালক জড়িয়ে পড়লে তাকে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এরপরই এই বিষয়ে ভার্মা কমিশন এমন সুপারিশ করে। পরে মোদি সরকার আইন সংশোধন করে। এই নতুন আইনে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের নাবালক ধর্ষণ বা খুনের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে গেলে তাকে সাবালক হিসেবে গণ্য করে বিচার হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।
এদিকে, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিস শহরের বুকে এই স্পর্শকাতর গণধর্ষণের মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের হাতেই তুলে দিতে চাইছে। পাশাপাশি আজ, শুক্রবার স্পেশাল এডুকেটরের উপস্থিতিতে আলিপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। আইন মেনে তার ভিডিও রেকর্ডিংও করা হবে।
পুলিসের দাবি, পঞ্চসায়র গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম কলকাতা পুলিসকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ধৃত ট্যাক্সিচালক বারবার বলেছে, ঘটনার সেই রাতে সে ট্যাক্সিতে একাই ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, গাড়ির সিট পিছানো প্রসঙ্গে একবার সে মুখ ফসকে নাবালকের কথা বলে ফেলে। তারপরই বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয় নবম শ্রেণী থেকে ‘ড্রপ আউট’ পেশায় ভ্যানচালক ওই নাবালককে।