বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কর্মীদের দাবি, তাঁদের নিয়োগের জন্য ১৯৯৭ সালে যে সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে বলা রয়েছে সরকারি কর্মীদের মতো বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন তাঁরা। এখন ছুটি, জিপিএফ এগুলো সরকারি কর্মীদের মতো পেলেও তাঁদের পেনশন, পদোন্নতি, হেলথ স্কিমে অন্তর্ভুক্তি না হওয়ায় চরম আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। অবসরের পর সমস্যা আরও বেশি। তাঁদের বক্তব্য, এ বিষয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের উচ্চস্তর, রাজ্য প্রশাসনের উচ্চস্তরে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। সামনেই আরও কর্মীর অবসর রয়েছে। এক কর্মীর কথায়, এই ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কর্মীদেরই মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার কর্মী দীপক চট্টোপাধ্যায়ের। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার কর্মী নিবিড় দে, ২০১৭ সালে মৃত্যু হয়েছে নভিজুল হকের। তাঁদের পরিবার কোনও সুবিধা না পেয়ে ধুঁকছে। বীরভূমের মুরারইয়ে বাড়ি এক কর্মী লুৎফর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁদের সংসার চালাতে খুব খারাপ অবস্থা বলে জানালেন তাঁর পরিবারের এক সদস্য। অবসর প্রাপ্ত এক কর্মী গোলকবিহারী নাথ কমিশনে চিঠিতে লিখেছেন, আমি ২০১৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। জমানো ছুটির বেতন ও জিপিএফের টাকা ছাড়া কিছু মেলেনি। খুব কষ্টে রয়েছি।
অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন চাকরি করার পরেও সরকারি নোটিফিকেশন ও গেজেট অনুযায়ী অবসরকালীন সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাওয়া যায়নি। হতাশার সুরে এক কর্মী জানান, আরটিআই করে দেখা গিয়েছে, এগুলো আমাদের প্রাপ্য। তাও পাচ্ছি না। এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের এক আধিকারিক জানান, এখানে কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজ্য সরকারের বিষয়। তারা বলতে পারবে। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।