বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধান সংসদে পেশ করা হয়েছিল, যা পরের বছর ২৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। সেই থেকেই প্রতিবছর ২৬ নভেম্বর দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবার তার ৭০তম পূর্তিতে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই দিনটিকে স্মরণ করতে চায় তৃণমূল। মঙ্গলবার, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রিসভার তরফে দেওয়া সংবিধান দিবস পালনের প্রস্তাব অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেছেন। ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর দু’দিন অধিবেশন কক্ষে আমন্ত্রিতরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন। এই বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে আগামী ২৫ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন অধ্যক্ষ। পার্থবাবু জানান, আমন্ত্রিত বক্তার তালিকা তৈরি করবেন অধ্যক্ষ। রাজ্যপালকে সংবিধান দিবসের বিশেষ অধিবেশনে ডাকা হবে কি না, তা খোলসা করেননি পরিষদীয় মন্ত্রী।
নাম না করে রাজ্যপালকে বিজেপির লোক বলে অভিহিত করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধানের লক্ষ্মণরেখা মানছেন না বলেও ধনকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন পার্থবাবু। সেই পটভূমিতে এবার সংবিধান দিবস পালনে সরকারপক্ষের আগ্রহ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বিধানসভার অধিবেশনের আহ্বায়ক রাজ্যপাল। তাই কোনও রাজ্য বিধানসভায় তাঁর কাজকর্ম নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। সেটাও সংবিধান অনুসারেই নির্ধারিত। যদিও রাজ্যপালের ভাষণের উপর অধিবেশনে বিতর্ক হয়। বিরোধীপক্ষ সেই বিতর্কে ভাষণের বিষয়বস্তুর সমালোচনা করতে পারে। তা নিয়ে ভোটাভুটির অধিকারও সংবিধান স্বীকৃত। উল্লেখ্য, বিগত অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন অধ্যক্ষ। সেই সুবাদে এই বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য আর রাজ্যপালের সমন জারির দরকার নেই। স্বভাবতই, রাজভবনকে এড়ানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংবিধান দিবস পালনের পরিকল্পনা করছে সরকারপক্ষ। বিশেষ করে সংসদের দুই কক্ষেই বাংলার রাজ্যপালের সংবিধানিক সীমারেখা লঙ্ঘন নিয়ে যখন তৃণমূল সংসদরা সরব, তখন রাজ্য বিধানসভায় বহিরাগত বক্তা সহ শাসকদলের বক্তারা এনিয়ে মুখ খুলতে পারেন। সেই সুযোগই এনে দিল দু’দিনের এই সংবিধান দিবসের অধিবেশন। এদিন অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, আমন্ত্রিতদের তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিধানসভার মূল অধিবেশনে রাজ্যপালকে নিয়ে আলোচনা করা যায় না, সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রিতরা কী বলবেন, তার উপর যে তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অধ্যক্ষের ওই বক্তব্যই যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। এখন দেখার, সরকারপক্ষের প্রধান বক্তা হিসেবে বিশেষ অধিবেশনে সংবিধান নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন। বিশেষ অধিবেশনের পর মূল অধিবেশন বসবে আগামী ২৯ নভেম্বর। সাত থেকে আট দিন সেই অধিবেশন চলতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী।