কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, জবকার্ডধারী শ্রমিকরা অনেক সময় টাকা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সব টাকা কাটমানি খাতে চলে যায় বলেও অভিযোগ এসেছে পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে। কারও কারও অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। তাই এ ব্যাপারে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর, জেলাশাসকদের পাঠানো নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, জবকার্ডে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক যতজনের নাম আছে, তাঁদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করতে হবে। সচল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার প্রত্যেক জবকার্ডধারী শ্রমিকের। কারণ ১০০ দিনের মজুরির টাকা তাঁদের আধার কার্ড যুক্ত সচল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই যাবে। যিনি কাজ করেছেন, শুধমাত্র তাঁর অ্যাকাউন্টেই টাকা যাবে, অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নয়। অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে পাঠানো হলে, তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করার নির্দেশিকা পাঠানো হলে তীব্র আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আপত্তিকে গ্রাহ্য না করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত থাকবে না, সেই অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে না।
সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠানো নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজ পেতে গেলে, কাজ চেয়ে আবেদন করতে হবে। যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদেরই তালিকায় রাখতে হবে। ইচ্ছেমতো নাম ঢোকানো যাবে না। জবকার্ডে যাঁদের নাম আছে, তাঁরা সকলেই কাজ চাইতে পারেন। তবে কাজ চাওয়ার বিষয়টি প্রচারের মধ্যে আনতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে সেই সমস্ত পরিবারের উপর, আর্থ-সামাজিক সমীক্ষায় যাঁদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বছরের কোনও একটি সময়ে একবার মাত্র ১৫ দিন কাজ দিলেই হবে না। যে পরিবারটি কাজ পেল, তার এক বা একাধিক সদস্যকে বারবার কাজ দিয়ে আর্থিক বছরে মোট ১০০ দিন কাজ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে একটি পরিবার বছরে সর্বাধিক ১০০ দিনই কাজ পাবে। তার বেশি নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।