রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, ২০১৬ সালে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ হতেই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের এমপি’রা। যার জেরে প্রস্তাবিত সেই বিল কার্যত ঠান্ডাঘরে চলে যায়। সোমবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকার ফের এই বিল আরও একবার পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন বছর আগে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বর্তমানে সেই সংক্রান্ত সমস্যা নেই বললেই চলে। স্বভাবতই গেরুয়া শিবিরের তরফে রামমন্দির ও সিএবি নিয়ে বিবিধ রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে তীক্ষ্ণ নজরে রাখা হচ্ছে। সঙ্ঘের এক শীর্ষনেতার কথায়, বাংলার ক্ষেত্রে এই দু’টি বিষয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কেননা, বাংলায় হিন্দুসমাজ ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে। স্বভাবতই রামমন্দির নির্মাণে যে বা যারা বাধা সৃষ্টি করবে, গোটা হিন্দুসমাজ তার বিরোধিতায় সুর চড়াবে। অন্যদিকে, সিএবি পাশ করাতে কংগ্রেস-তৃণমূল বিরোধিতা করলে গোটা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, শরণার্থীদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেওয়ার পথে এতদিন কারা অন্তরায় হয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওই গেরুয়া নেতা।
ভিএইচপি’র তরফে সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, দেশজুড়ে রামমন্দির ও সিএবি’র সমর্থনে আমরা লাগাতার কর্মসূচি নেব। মন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে এমপি’দের সহায়তা চাওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ-পকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান নিশ্চিত করতেও তাঁদের সমর্থন চাওয়া হবে। এই ইস্যুতে বাংলার অ-বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের কাছেও আমরা সাহায্য চাইতে যাব। এক্ষেত্রে তাঁরা আগের অবস্থানে অনড় থেকে বিরোধিতা করলে ভিএইচপি’র তরফেও বাংলা-দিল্লিতে নাগাড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও আগাম হুমকি দিয়েছেন শচীনবাবু।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, এদিন লোকসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে (বিএ কমিটি) ছ’টি বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে রামমন্দির কিংবা সিএবি সংক্রান্ত কোনও বিলের উল্লেখ নেই। সুদীপবাবুর কথায়, এ বিষয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই মতো সংসদে দলের প্রতিনিধিত্ব করব। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী সাফ জানান, দলের নীতি মেনে সিএবি নিয়ে আগের মতোই বিরোধিতা করব। তবে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে ভিএইচপি’র প্রতিনিধিরা আগেও আমার কাছে এসেছিলেন। আবার এলে সময় থাকলে দেখা করব।