দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
তিনি জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন নার্সিং স্কুল ও কলেজ থেকে ২৭ জন সিনিয়র নার্স ও নার্সিং শিক্ষিকাকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে মাস্টার ট্রেনার তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা রাজ্যের সমস্ত সরকারি মানসিক হাসপাতালে কর্মরত ৩৪০ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেবেন। সেই কর্মসূচি চলবে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। তারপরই রাজ্যের নার্সিং ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের নার্সদের সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং করানোর কাজ শুরু করবে দপ্তর। সূত্রের খবর, ইউ কে ইন্ডিয়া এডুকেশন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রকল্প অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের সরকারি ক্ষেত্রের উচ্চপ্রশিক্ষিত নার্স এবং শিক্ষিকারা রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের নার্সিং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। কিছুদিন আগের প্রশিক্ষণে তাঁদের পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। দপ্তর আশাবাদী, এপ্রিল-মে মাসের প্রশিক্ষণে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবেন কর্মরত নার্স এবং নার্সিং শিক্ষিকারা।
প্রসঙ্গত, শুধু রাজ্য নয়, দেশ এমনকী গোটা পৃথিবীতে ‘বার্ন আউট’ বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং বিভিন্ন ঘটনার অভিঘাতে আসা অবসাদ এখন স্বাস্থ্যকর্মী মহলের বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাতে কাজ ছেড়ে দিতে চাওয়া, আত্মহত্যা প্রবণতা, অধৈর্য হয়ে পড়া, অসহ্যকর লাগা ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক সমীক্ষা এর আগেও বলেছে, সাইকিয়াট্রিস্ট এবং দাঁতের ডাক্তারদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা খুব বেশি থাকে। ডাক্তারদের পাশাপাশি নার্সিং কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের প্রবণতা বাড়ছে। এক নার্সিং কর্ত্রী জানান, সংসার এবং কর্মস্থলের চাপ সামলাতে গিয়ে শুধু স্টাফ নার্সরাই নন, যাঁদের উপর নার্সিং শেখানোর ভার সেইসব টিউটর এমনকী অধ্যক্ষাদের একাংশও তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছেন কখনও কখনও। এর উপশম না করলে বড়সড় বিপদ হতে পারে যে কোনও সময়।